আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহ

শায়েখ , আমি মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস পেয়েছি
হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর ৯৯ নাম ও নামের সাথে দুরুদ নির্দিষ্ট সংখ্যক বার পাঠ করার ফযীলত।
প্রতিদিন ৩১০ বার সাহিদ্দুন (সা:) পাঠ করলে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন বা প্রতিদিন ১০০ বার যাওয়াদ্দুন (সা:) পাঠ করলে সে সম্পদশালী হবেন। অ্যাপসএ প্রতিটি নামের ই ফযীলত উল্লেখ আছে এবং অ্যাপস টি ইংরেজিতে।

শায়েখ এইভাবে পাঠ করা যাবে কি? কুরআন ও হাদীসে অনুমতি আছে কি ? এগুলো সঠিক কি না ?

1 Answer

0 votes
by (707,520 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1104 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত উবাই ইবনে কা'ব রাযি, থেকে বর্ণিত,
রাত্রির শেষভাগে রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘুম থেকে উঠে লোকদের উদ্দেশ্য করে বলতে,হে লোকসকল!আল্লাহকে স্বরণ করো!অাল্লাহকে স্বরণ করো!কিয়ামত(মিক্বাঈল আঃ কর্তৃক প্রথম ফু) স্বন্নিকটে, কিয়ামত(দ্বিতীয় ফু) স্বন্নিকটে। মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত।মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত। উবাই ইবনে কা'ব রাযি বলেন,হে রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমি আপনার উপর বেশী করে দুরুদ পড়তে চাই! আমি আমার দু'আয় কতটুকু আপনার উপর দুরুদ কে স্থান দেবো?(অর্থাৎ অন্যান্য দু'আর তুলনায় আপনার উপর কতটুকু বেশী দুরুদ পেশ করব?)তখন রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি যা চাও। আমি বললাম,এক চতুর্থাংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।আমি আবার বললাম যে, তাহলে অর্ধেক?তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।তিনি বলেন,অতঃপর আমি বললাম,দুই তৃতীয়াংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।শেষপর্যন্ত আমি বললাম,আমার দু'আর সমস্ত অংশজুড়ে আপনার দুরুদ-কে স্থান দেবো?তিনি উত্তরে বললেন,তাহলে তো তোমার উদ্দেশ্য(দুনিয়া ও আখেরাতে) পূর্ণ হবে এবং তোমার গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সুনানে তিরমিযি-২৪৫৭,মিশকাতুল মাসাবিহ-৯২৯)
(শেষ)

নবীর উপর দুরুদ পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। যেমন https://www.ifatwa.info/1808 নং ফাতাওয়ায়ে আমরা বলেছি যে, 
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উল্লেখ করার পর বা শ্রবণ করার পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে- 
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( رغِم أنفُ رجلٍ ذُكرتُ عنده فلم يصلِّ عليَّ ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ঐ ব্যক্তির নাক ধুলিত হোক,(অর্থাৎ বরকত শূন্য হোক) যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না। (সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নবীর উপর দুরুদ পাঠ  অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।তবে নবীজি সাঃ এর নাম সমূহের কোনো এক নামকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় উচ্ছারণ করে যিকির করার কোনো বৈধতা বা নযির শরীয়তে নাই।সুতরাং এটা পরিত্যাজ্য বিষয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...