বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত উবাই ইবনে কা'ব রাযি, থেকে বর্ণিত,
রাত্রির শেষভাগে রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘুম থেকে উঠে লোকদের উদ্দেশ্য করে বলতে,হে লোকসকল!আল্লাহকে স্বরণ করো!অাল্লাহকে স্বরণ করো!কিয়ামত(মিক্বাঈল আঃ কর্তৃক প্রথম ফু) স্বন্নিকটে, কিয়ামত(দ্বিতীয় ফু) স্বন্নিকটে। মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত।মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত। উবাই ইবনে কা'ব রাযি বলেন,হে রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমি আপনার উপর বেশী করে দুরুদ পড়তে চাই! আমি আমার দু'আয় কতটুকু আপনার উপর দুরুদ কে স্থান দেবো?(অর্থাৎ অন্যান্য দু'আর তুলনায় আপনার উপর কতটুকু বেশী দুরুদ পেশ করব?)তখন রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি যা চাও। আমি বললাম,এক চতুর্থাংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।আমি আবার বললাম যে, তাহলে অর্ধেক?তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।তিনি বলেন,অতঃপর আমি বললাম,দুই তৃতীয়াংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।শেষপর্যন্ত আমি বললাম,আমার দু'আর সমস্ত অংশজুড়ে আপনার দুরুদ-কে স্থান দেবো?তিনি উত্তরে বললেন,তাহলে তো তোমার উদ্দেশ্য(দুনিয়া ও আখেরাতে) পূর্ণ হবে এবং তোমার গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সুনানে তিরমিযি-২৪৫৭,মিশকাতুল মাসাবিহ-৯২৯)
(শেষ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উল্লেখ করার পর বা শ্রবণ করার পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( رغِم أنفُ رجلٍ ذُكرتُ عنده فلم يصلِّ عليَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ঐ ব্যক্তির নাক ধুলিত হোক,(অর্থাৎ বরকত শূন্য হোক) যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না। (সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নবীর উপর দুরুদ পাঠ অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।তবে নবীজি সাঃ এর নাম সমূহের কোনো এক নামকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় উচ্ছারণ করে যিকির করার কোনো বৈধতা বা নযির শরীয়তে নাই।সুতরাং এটা পরিত্যাজ্য বিষয়।