ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সলেহীন এ ওয়া আলা-তে আইন এর জায়গায় আলিফ পড়লে এবং ইবাদিল্লাহিস সলেহীন এ আইন এর ইয়া দিয়ে পড়লে সালাতের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে তাজবীদ সহকারে পড়া মুস্তাহাব ও উত্তম।
এবং গসিকিন এ সীন এর জায়গায় সা পড়লে কিংবা ইযা হাসাদ এ ইযা এর জায়গায় জীম দিয়ে পড়লে নামায ফাসিদ হবে না।
সুরা ফালাকের যতো জায়গায় সীন আছে অই জায়গা গুলোতে সা পড়লে সালাত ফাসিদ হবে না। তথা নষ্ট হবে না। তবে মুস্তাহাবের খেলাফ অবশ্যই হবে।