বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা সারখাসী রাহ বলেনঃ
ثم النجاسة على نوعين: مرئية وغير مرئية، ثم المرئية لا بد من إزالة العين بالغسل، وبقاء الأثر بعد زوال العين لا يضر هكذا..........
তরজমাঃ-
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।
আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব।(মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)
অনেক গুলি নাপাক কাপড় এক সাথে ধৌত করলে,প্রত্যেকটি কাপড়কে প্রথমবার কচলিয়ে ধৌত করা হবে।তারপর দ্বিতীয়বার নতুন পানি নিয়ে সব কাপড়গুলোকে ধৌত করা হবে।তারপর তৃতীয়বার আবার নতুন পানি নিয়ে সবগুলো কাপড়কে ধৌত করা হবে।এভাবে সবগুলো কাপড়ের জন্য সর্বমোট তিনবার নতুন পানি নিয়ে ধৌত করলেই সবগুলো কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।প্রত্যেক কাপড়ের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে তিনবার করে নতুন করে পানি নেওয়ার কেনো প্রয়েজনিয়তা নাই।বরং সবগুলো কাপড়ের জন্য সমষ্টিগতভাবে তিনবার পানি নিয়ে নিলেই যথেষ্ট হবে।
একবার নাপাক কাপড় পানিতে ধুয়ে হাত দিয়ে চিপড়ানোর পর; ঐ হাত দিয়ে যদি বালতির পানি ফেলে আবার ট্যাব থেকে পানি বালতিতে ভরা হয়, তাহলে ট্যাব এবং বালতি কিছুই নাপাক হবে না।