ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথম কথা হল, প্রচলিত খেলাধুলা যা আন্তর্জাতিক ভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে, এই খেলাধুলা সম্পর্কে বিধান হল, এগুলো নাজায়েয ও হারাম। কেননা তাতে অনেক হারাম জড়িত রয়েছে। হ্যা, কোনো প্রকার হারাম জড়িত না থাকলে তখন মনকে প্রফুল্ল করতে বৈধ বিনোদনের সুযোগ ইসলামে রয়েছে। কিছু হেকমত যেমন শারিরিক ফায়দার দিকে লক্ষ্য রেখে শরীয়ত কিছু খেলার অনুমোদন দিয়েছে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/673
আপনার বর্ণিত আয়াত হল এই-
وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَـٰكِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ
যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا ۖ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُم مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَىٰ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ
আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। (সূরা মায়েদা-৮১-৮২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত আয়াতে আল্লাহ খৃষ্টনদের কে বন্ধু বানানোর কথা বলছেন না। বরং বলছেন যে, ইহুদি এবং মুশরিক থেকে তারা মুসলামনদের জন্য বন্ধত্বের নিকটবর্তী হবে। তবে তারা কখনো মুসলামনদের বন্ধু হবে না। এবং তাদেরকে বন্ধু বানানোও কখানো জায়েয হবে না। এবং তাদেরকে সমর্থন করাও কখনো জায়েয হবে না। বিশেষ করে একটা নাজায়েয ও হারাম কাজকে কেন্দ্র করে কখনো এই সমস্ত খৃষ্টানদেরকে বা তাদের দেশকে সমর্থন করা কখনো জায়েয হবে না। তাছাড়া তারা কেন মুসলামনদের জন্য বন্ধুত্বের নিকটবর্তী? সেই প্রশ্নের জবাব আল্লাহ নিজেই দিচ্ছেন যে, তাদের মধ্যে আলেম ও দরবেশ রয়েছে যে জন্য তারা তাদের ধর্মের খেলাফ কাজ করে না। অথচ প্রচলিত খেলায় যা হয়, তার সবটাই তাদের ধর্মমতেও হারাম। অথচ তারা তাদের ধর্মকে মানে না। সুতরাং ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা নামক দল গুলো সমর্থন করা কখনো কোনো মুসলিমের জন্য জায়েয হতে পারে না।