আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
465 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

পর্দা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। মুহতারাম,

[১] আমার অফিসের অনেক গায়রে-মাহরাম নারী সহকর্মী আছেন যাদের সাথে আমাকে প্রায়ই কাজ করতে হয়। না চাইলেও অনেক সময় তাদের চেহারার দিকে তাকাতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের দিকে তাকালে কি আমার কোন গুনাহ হবে?

[২] আমি যেহেতু একটি পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরত আছি, অনেক ক্ষেত্রেই কোম্পানীর জন্য নারী কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের বয়স যাচাই করার জন্য নিক্বাব/মাস্ক খুলতে বলি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোন পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১৮ বছরের কম বয়সী কর্মী নিয়োগ নিষিদ্ধ, তাই তাদের বয়স যাচাই করাটা বাধ্যতামূলক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব শ্রমিক/কর্মী ভুয়া/জাল জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আসেন। তাই তাতক্ষনিকভাবে তাদের বয়স যাচাইয়ের জন্য চেহারা দেখাটা জরুরী। বলে রাখা ভালো, যে ক্ষেত্রে দূর থেকে দেখে মনে হয় যে তাদের বয়স ১৮ হয়েছে বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ১৮ বছর হয়েছে, তাদের চেহারা দেখি না বা নিক্বাব/মাস্ক খুলতেও বলি না। কিন্তু যাদেরকে দেখে মনে হয় যে বয়স কম কিংবা ভুয়া জন্ম নিবন্ধন (এইসব শ্রমিকদের অধিকাংশ জন্ম নিবন্ধনই ভুয়া/জাল বা বয়স কমানো/বাড়ানো হয়ে থাকে) নিয়ে আসে, তাদেরকে নিক্বাব/মাস্ক খুলতে বলি। 

এই নিক্বাব/মাস্ক খুলতে বলার কারনে কি আমার কোন গুনাহ হবে? কিংবা তাদের চেহারা দেখে যে আমি তাদেরকে নিয়োগ অনুমোদন করি, সেক্ষেত্রেও কি আমার গুনাহ হবে?

[৩] এছাড়াও আমাদের গ্রুপ অফ কোম্পানীর একাধিক অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক প্রতিষ্ঠানের কর্মী (চাকরি ছেড়ে চলে গেলে) গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হয় না। এদের বেশিরভাগই নারী কর্মী। গ্রুপের এক প্রতিষ্ঠানের কর্মী অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ করার জন্য উভয় প্রতিষ্ঠানের নিয়োগদাতারা সকল নতুন নারী কর্মীদের ছবি তুলে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে শেয়ার করেন যাতে অন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগদাতা বুঝতে পারেন যে সংলিষ্ট নারী কর্মীটি অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিল কিনা। যদি এমন কাউকে খুজে পায়, তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানে গেলে তাকে আর নিয়োগ দেওয়া হয় না।

এখন এইভাবে নারী কর্মীদের ছবি তুলে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে (শুধু নিয়োগকর্তারা থাকেন ঐ গ্রুপে) শেয়ার করাটা কি জায়েজ হচ্ছে? কিংবা যেহেতু অনেক পর্দানশীল নারী কর্মীদের নিক্বাব খুলে ছবি তোলা হয়, তাই এভাবে ছবি তোলার জন্য আমি কি গুনাহগার হচ্ছি?

 

কথাগুলো একেবারে ভেঙ্গে বললাম। আশা করি বিরক্ত হননি। জাযাকাল্লাহু খাইরান। 

by (1 point)
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা পুরুষ এবং নারী দু'টি ভিন্ন জাতিকে তৈরী করেছেন।এবং তাদের কাজকেও বন্টন করে দিয়েছেন।এভাবে যে, সাধারণত পুরুষ বাহিরে কাজে ব্যস্ত থাকবে এবং নারীরা ঘরের ভিতর সামাল দিবে।এবং সন্তানসন্ততি কে শিক্ষাদীক্ষা দেয়ার মত মহান কাজ আঞ্জাম দিবে।

নারীশ্রম কে ইসলাম নিরোৎসাহিত করেছে।তবে শরয়ী জরুরুতে অনুমোদনও দিয়েছে। নারীশ্রমের শরয়ী বিধান জানতে ভিজিট করুন করুন-  https://www.ifatwa.info/632

ফিৎনার আশংকা না থাকলে নারীদের জন্য একদিন একরাত (পায়ে হেটে)সফর পরিমাণ দূরত্ব তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা সফর করা মাহরাম ব্যতীত জায়েয আছে।তবে ফিৎনার আশংকা থাকলে জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/212

পর্দা করা ফরয।পর্দার তিনটি স্থর রয়েছে পর্যায়ক্রমে।প্রথম স্থর হল,ঘরে বসে পর্দা করা।বিস্তারিত জানুন-  https://www.ifatwa.info/572
মানবিক প্রয়োজন,যার জন্য বের না হলেই নয়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3247

ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত প্রয়োজনে পর্দা সম্মত হালাল যেকোনো চাকুরী করা যাবে। তবে অবশ্যই পিতা বা স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষ্যে। বিনা প্রয়োজনে চাকুরীতে না যাওয়াই উত্তম। যদি ফ্রি মিক্সিং চাকুরী করা ব্যতীত খোরাকীর অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে ইস্তেগফারের সাথে রুখসত হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/3503

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
(১) আপনার জন্য উচিৎ ভিন্ন কোনো চাকুরী খোজা, যেখানে কোনো গায়রে মাহরাম নারী প্রতিনিয়ত দেখতে হবে না। সমপর্যায়ের কোনো ১০০ ভাগ হালাল চাকুরী পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনি তথায় ইস্তেগফারের সাথে চাকুরী করতে পারবেন। শর্ত হল, সর্বদা নিজ চক্ষুকে অবনত করে রাখতে হবে। 
(২) জ্বী, যাচাই বাচাইয়ের জন্য সর্বোচ্ছ একবার কোনো মহিলার দিকে আপনি থাকাতে পারবেন। এর বেশী পারবেন না। যখন একবার দৃষ্টি দিয়ে দিবেন, তখন সাথে সাথেই চক্ষুকে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
(৩) গ্রুপে ছবি রাখা যাবে, তবে প্রয়োজন ব্যতিত কখনো দেখা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...