ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ومنها أن يتلفظ باليمين، فإذا جرى اليمين على قلبه بدون تلفظ لا ينعقد
[«الفقه على المذاهب الأربعة» (2/ 64)]
জবান দ্বারা উচ্ছারণ ব্যতিত কসম হবে না।
(আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবাআহ-২/৬৪)
(وأما ركن اليمين بالله) فذكر اسم الله، أو صفته، وأما ركن اليمين بغيره فذكر شرط صالح، وجزاء صالح كذا في الكافي
[«الفتاوى العالمكيرية = الفتاوى الهندية» (2/ 51)]
কসম সংগঠিত হওয়ার জন্য শর্ত হল, আল্লাহর নাম বা আল্লাহর সিফাত উচ্ছারণ পূর্বক যবান দ্বারা কোনো কিছু করা বা না করার কসম খাওয়া। অর্থ কোনো শর্ত ও প্রতিদান উল্লেখপূর্বক কসম খাওয়া। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)
(الشَّرِيطَةُ الرَّابِعَةُ) التَّلَفُّظُ بِالْيَمِينِ، فَلَا يَكْفِي كَلَامُ النَّفْسِ عِنْدَ الْجُمْهُورِ خِلَافًا لِبَعْضِ الْمَالِكِيَّةِ.
وَلَا بُدَّ مِنْ إِظْهَارِ الصَّوْتِ بِحَيْثُ يُسْمِعُ نَفْسَهُ إِنْ كَانَ صَحِيحَ السَّمْعِ
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (7/ 266)]
(১) সুতরাং মনে মনে কসম করলে সেটা কসম হবে না। বরং যবান দ্বারা উচ্ছারণ করতে হবে।
(২) কাফফারা আদায়ের সামর্থ্য থাকাবস্থায় যদি কেউ কাফফারা আদায় না করে, তাহলে তার অবশ্যই গোনাহ হবে। কিন্তু কাফফারা আদায় করার সামর্থ্য না থাকাবস্থায় যদি কাফফারা আদায় না করে, এবং তার কাফফারা আদায় করার নিয়ত থাকে, এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হয়, তাহলে তার গোনাহ হবে না। বরং সে ক্ষমাযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩)
যেভাবে লিখার দ্বারা তালাক পতিত হয়, ঠিক সেভাবে লিখার দ্বারা কসমও পতিত হবে। অর্থাৎ কসম প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত ছিল, মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করা। লিখাকেও ফুকাহায়ে কেরাম মুখ দ্বারা উচ্ছারণের সমপর্যায়ে নিয়ে আসেন। সুতরাং লিখার দ্বারাও কসম হয়ে যাবে। এবং বিড় বিড় করে উচ্ছারণ করার দ্বারাও কসম পতিত হবে। তবে কসম উদ্দেশ্য না থাকলে কসম পতিত হবে না।
وكذا التكلم بالطلاق ليس بشرط فيقع الطلاق بالكتابة المستبينة وبالإشارة المفهومة من الأخرس لأن الكتابة المستبينة تقوم مقام اللفظ والإشارة المفهومة تقوم مقام العبارة
[«بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع» (3/ 100)]