ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হুনাইন যুদ্ধের ইতিহাসে mass destruction এর অর্থ কি? আমাদেরকে এর পূর্ণ মিনিং আপনি কমেন্টে বুঝাবেন। ইনশা আল্লাহ এর ব্যখ্যা প্রদান করার চেষ্টা করবো।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে-
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إِنَّ النَّارَ لاَ يُعَذِّبُ بِهَا إِلاَّ اللَّهُ.
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আগুন দ্বারা আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সহীহ বুখারী: ৩০১৬)
وَرَأَى النبي صلى الله عليه وسلم قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حرقها بعض الصحابة بالنار فقال: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ.
"রাসূলুল্লাহ সা, দেখলেন জনৈক সাহাবী পিঁপড়ার বাসা আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিয়েছেন৷ তখন রাসূল সা, বললেন, আগুনের প্রতিপালক ছাড়া আগুন দ্বারা অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সুনানে আবু দাউদ: ২৬৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো প্রাণীকে আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না। যেহেতু বর্তমান সময়ে শক্তির মূল কেন্দবিন্দুই হচ্ছে, মিসাইল ও ফাইটার জেট, তাই এগুলোকে মুসলিম দেশ সংগ্রহে রাখতে পারবে। এমনি কাফির ও শত্রুদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্য এগুলোকে সংগ্রহে অত্যান্ত জরুরী। তবে অগ্রে সেগুলোকে প্রয়োগ করা যাবে না। শত্রুদের সাথে এগুলোর প্রয়োগ ব্যতিত যতক্ষণ ভিন্ন রাস্তা খোলা থাকবে, ততক্ষণ এগুলোকে প্রয়োগ করা যাবে না। এগুলোকে শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে প্রয়োগ করা যেতে পারে। শর্ত এই যে, এগুলোর ব্যতিত ভিন্ন কোনো রাস্তা খোলা না থাকা।
(৩)
তাদের সমানে ভিন্ন রাস্তা খোলা থাকবস্থায় মিসাইল ছুড়ে মানুষ হত্যা জায়েয হবে না।