জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমেই সুবহে সাদিকের আগে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ، فَيَقُولُ : مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের মহা মহীয়ান রবব প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করে বলেন, আছে কেউ আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিবো? আছে কেউ আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো? আছে কি কেউ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো।
(বুখারী (অধ্যায় : তাহাজ্জুদ, অনুঃ রাতের শেষ ভাগে ও সলাতে দু‘আ করা, হাঃ ১১৪৫), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রাতের শেষাংশে দু‘আ যিকিরে উৎসাহ দান)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্কৃষ্ট নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে।
ফজর আর মাগরিব নামাজের পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে।
اللهم أجرني من النار সাত বার পাঠ করবে।
ফজরের পত সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে।
মাগরিবের পর সুরা ওয়াকিয়া,ইশার পর সুরা মুলক,আলিফ লাম মিম সাজদাহ পাঠ করবে।
,
ফরজ নামাজের পর উক্ত আমল গুলো করবে।
,
কতটুকু কুরআন পড়তে হবে, এই ব্যাপারে বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই।
সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি তিলাওয়াত করার চেষ্টা করতে হবে।
,
তিন দিনের কম সময়ে কোরআন খতম করা অনুচিত। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তিন দিনের কম সময়ে যে কোরআন খতম করবে, সে কোরআন বুঝবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৯৬)
জায়েদ বিন সাবেত (রা.)-কে একজন জিজ্ঞেস করলেন, সাত দিনে কোরআন খতম করাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন? তিনি বলেন, এটা ভালো। অবশ্য আমি এটাকে ১৫ দিনে বা ১০ দিনে খতম করাই পছন্দ করি। আমাকে জিজ্ঞেস করো, তা কেন? তিনি বলেন, আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি। জায়েদ বলেন, যাতে আমি তার স্থানে স্থানে চিন্তা করতে পারি এবং থামতে পারি।’ (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৪৭২)
দৈনন্দিন আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ