জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সুরা মায়েদার ০২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحِلُّوۡا شَعَآئِرَ اللّٰہِ وَ لَا الشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَ لَا الۡہَدۡیَ وَ لَا الۡقَلَآئِدَ وَ لَاۤ آٰمِّیۡنَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ رِضۡوَانًا ؕ وَ اِذَا حَلَلۡتُمۡ فَاصۡطَادُوۡا ؕ وَ لَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ اَنۡ صَدُّوۡکُمۡ عَنِ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اَنۡ تَعۡتَدُوۡا ۘ وَ تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۲﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ, পবিত্র মাস, কুরবানীর জন্য কাবায় পাঠানো পশু, গলায় পরান চিহ্নবিশিষ্ট পশু এবং নিজ রব-এর অনুগ্রহ ও সন্তোষলাভের আশায় পবিত্র ঘর অভিমুখে যাত্রীদেরকে বৈধ মনে করবে না আর যখন তোমরা ইহরামমুক্ত হবে তখন শিকার করতে পার। তোমাদেরকে মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেয়ার কারণে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনই সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। নেককাজ ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পর সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।
وَ مَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰہِ فَاِنَّہَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ ﴿۳۲﴾
কেউ আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এ তো তার হৃদয়ের তাকওয়াপ্রসূত।
(সুরা আল হজ্জ ৩২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
মহান আল্লাহ তায়ালার শানের খেলাফ বাক্য ব্যবহার করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কিছু মানুষ মুহাব্বতে বলেই ফেলে,
"আল্লাহ তাআ'লা উনাকে জান্নাতবাসী করুক"
এখানে আমাদের সমাজে মহান আল্লাহর শানে এরুপ বাক্য ব্যবহার করলে আদবের খেলাফ মনে করা হয়না,তাই শব্দটি করুক বললে আদবের বরখেলাপ হবে।
,
তবে "আল্লাহ তাআ'লা উনাকে জান্নাতবাসী করুন"
বলাটাই অধিকতর সঠিক হবে।