বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হাদীসের বর্ণনা 'কুরআন পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাওয়া'
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তিটি নিশ্চয় পূর্ণ তাজবিদকে রপ্ত করতে পারেনি কেননা সে তো ঠিকমত পড়তেই পারছেনা বরং পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।এরপরও সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দু'টি সওয়াবের অংশীদার হবে।
এত্থেকে বুঝা গেল যে, মুস্তাহাব পর্যায়ের তাজবিদকে ছেড়ে দিয়ে কুরআন পড়তে কোনো অসুবিধে নেই।এবং এতে কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।হ্যা জরুরী পর্যায়ের তাজবিদ তাকে শিখতে হবে।
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন,
হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض ذ .ز س.ص.ث. ط. ت. এর মধকার উচ্ছারণ পার্থক্য জানা ও আদায় করা ফরয।তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা,এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
নবীণ শিক্ষার্থীদের কুরআন তেলাওয়াত সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে,যদি তারা আরবী সামঞ্জস্যশীল হরফের উচ্ছারণ সঠিকভাবে শিখে নিতে পারে তাহলে তাদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত বৈধ হবে।এক্ষেত্রে যদিও তারা পূর্ণ তাজবিদকে আয়ত্ব করতে সক্ষম না হোক।
হ্যা অবশ্যই পূর্ণ তাজবিদকে শিক্ষার চেষ্টা সবাইকে করতে হবে, কেননা সেটা মুস্তাহাব।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1126
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.