আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
513 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

নবী করীম হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর নামে জিকির করা যাবে কি এবং ফজীলত সম্পর্কে জানাবেন , ইনশাআল্লাহ।

যেমন -

ইয়া ক্বাসিমুন(সা:),ইয়া মাহমু’দুন(সা:),ইয়া হামিদুন(সা:),ইয়া আহমাদুন(সা:)

ইয়া জাওয়াদ্দুন (সা:)।

by (32 points)
না,কখনো নয়,ইসলামে যিকির বলতে শুধু আল্লাহকে স্মরণ করাকে বুঝায়।নবীর নামে কোন সাহাবী যিকির করেন নি।কেউ এটা করলে, সে মারাত্মকভাবে বিদআত করবে।এটা ইসলামে হারাম।তবে নবীর নামে দরুদ পাঠ করা ইসলামে স্বীকৃত। সেটা হলো আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদীউ, ওয়া লা আলি মুহাম্মাদীন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমু ওয়ালা আলি ইব্রহীমা। 
এতে ফজীলত হলো ১০ রহমত আল্লাহ আপনার জন্য নাযিল করবেন।
আর ইসলামে সর্বশ্রেষ্ঠ যিকির হলো (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) 
আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই।
সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ অতি পবিত্র)
আলহামদুলিল্লাহ (সকল ধন্যবাদ ও প্রসংশা আল্লাহই জন্য)
এসব করলে আপনি আল্লাহর প্রিয় হতে পারবেন, খুব দ্রুতই।
by (2 points)

নামের পড়ে ত দুরূদ আছে  ক্বাসিমুন(সা:) এইভাবে পড়া যাবে কি? কিছু অ্যাপ এ পেয়েছি

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যিকির একমাত্র আল্লাহর নামেই করতে হবে। আল্লাহর যিকির ব্যতিত অন্য কারো নাম নিয়ে যিকির করা যাবে না। বরং প্রকারান্তে তা শিরকে পতিত হবে। 
https://www.ifatwa.info/469 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
যিকির প্রসঙ্গে  আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗُﻞِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺃَﻭِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦَ ﺃَﻳًّﺎ ﻣَّﺎ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍْ ﻓَﻠَﻪُ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ-
(হে নবী আপনি) বলুনঃতোমরা  আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই তোমরা আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। (সূরা বনী ইসরাঈল-১১০)
 ﻭَﻟِﻠّﻪِ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻓَﺎﺩْﻋُﻮﻩُ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺫَﺭُﻭﺍْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻠْﺤِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺃَﺳْﻤَﺂﺋِﻪِ ﺳَﻴُﺠْﺰَﻭْﻥَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ 
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।
নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই তারা পাবে। (সূরা আ'রাফ ১৮০)
ﺳﺒﺢ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻚ ﺍﻷﻋﻠﻰ
অর্থ, তোমার প্রভূর নামের তাসবীহ পাঠ কর।
ﻗﺪ ﺃﻓﻠﺢ ﻣﻦ ﺗﺰﻛﻰ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻪ ﻓﺼﻠﻰ
এ আয়াতের মাঝেও বলাহয়েছেঃ প্রকৃত সফলকাম ঐ ব্যক্তি যে তার রবের নামের যিকির করে ৷ (সূরাঃ আ'লা-১৪-১৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/469

নবীর উপর দুরুদ পাঠ করা যাবে। যেমন https://www.ifatwa.info/1808 নং ফাতাওয়ায়ে আমরা বলেছি যে, 
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উল্লেখ করার পর বা শ্রবণ করার পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে- 
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( رغِم أنفُ رجلٍ ذُكرتُ عنده فلم يصلِّ عليَّ ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ঐ ব্যক্তির নাক ধুলিত হোক,(অর্থাৎ বরকত শূন্য হোক) যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না। (সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৫)
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1104

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমাদের নবীর উপর দুরুদ পাঠ এবং অন্যান্য নবীদের উপর সালাম পাঠ করা যাবে। তবে তাদের নামের যিকির করা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...