বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কোনো প্রকার এলকোহল সম্পর্কে যদি জানা যায় যে, সেটা মদ থেকে তৈরী করা হয়েছে,অথবা যা সেবন করলে নেশা চলে আসে তাহলে তা অবশ্যই মদের মতই হারাম।আর যদি এলকোহলটি মদ থেকে তৈরী হওয়া সম্পর্কে জানা না যায়, তাহলে তা হারাম হওয়ার আপাদত কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। হারাম প্রমাণিত না হলে যেহেতু প্রত্যেক জিনিষের মৌলিকত্ব বৈধ,বিধায় সেটাও বৈধ হবে।
ঠিকতেমনিভাবে কোনো হারামের মৌলিকত্ব বদলে গিয়ে যদি তা ভিন্নরূপ ধারণ করে তবে সেটাও বৈধ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/165
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু ক্রিম ব্যাপকহারে প্রচলিত, অন্যদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এলকোহলের অধিকাংশ ই মদ থেকে তৈরী হয় না, তাই কোনো এলকোহল সম্পর্কে হারাম প্রমাণিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা হালাল ও বৈধ। সুতরাং উক্ত দৃষ্টিভঙ্গি তে ক্রিম অ্যালকোহলযুক্ত হওয়ার পরও তা বৈধ হবে।
দাতে কিছু আটকে থাকার কারণে যদি তাতে পানি না পৌছে, তাহলে অজু হবে না।আর যদি উক্ত আটকে যাওয়া জিনিষকে বের করা কখনো সম্ভব না হয়,তাহলে পানি না পৌছলেও এক্ষেত্রে অজু হবে।
بِخِلَافِ نَحْوِ عَجِينٍ.
(وَ) لَا يَمْنَعُ (مَا عَلَى ظُفْرِ صَبَّاغٍ وَ) لَا (طَعَامٌ بَيْنَ أَسْنَانِهِ) أَوْ فِي سِنِّهِ الْمُجَوَّفِ بِهِ يُفْتَى. وَقِيلَ إنْ صُلْبًا مَنَعَ، وَهُوَ الْأَصَحُّ.
ইবনে আবেদিন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন,
(قَوْلُهُ: بِخِلَافِ نَحْوِ عَجِينٍ) أَيْ كَعِلْكٍ وَشَمْعٍ وَقِشْرِ سَمَكٍ وَخُبْزٍ مَمْضُوغٍ مُتَلَبِّدٍ جَوْهَرَةٌ، لَكِنْ فِي النَّهْرِ: وَلَوْ فِي أَظْفَارِهِ طِينٌ أَوْ عَجِينٌ فَالْفَتْوَى عَلَى أَنَّهُ مُغْتَفَرٌ قَرَوِيًّا كَانَ أَوْ مَدَنِيًّا. اهـ. نَعَمْ ذَكَرَ الْخِلَافَ فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ فِي الْعَجِينِ وَاسْتَظْهَرَ الْمَنْعَ؛ لِأَنَّ فِيهِ لُزُوجَةً وَصَلَابَةً تَمْنَعُ نُفُوذَ الْمَاءِ.
(১/১৫৪)