আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আমি কিছু  ক্রিম ইউজ করি যা অমুসলিম কান্ট্রি উৎপাদন করে এবং সেগুলো হালাল সার্টিফাইড না। ক্রিমে  এলকোহল এবং শুকর থেকে কালেক্ট করা   উপাদান থাকে অনেকসময়। যারা এসব ক্রিম নিয়ে ভালো ধারনা রাখে তারা বলে যে এসব উপাদানের সাথে আরও অনেক উপাদান প্রসেসিং করে ক্রিম তেরী করা হয় যার কারনে এসবের মৌলিকত্ব থাকে না। তাই ব্যবহার করা যাবে।
আমার প্রশ্ন হলো --
(১) এগুলো অজু করে লাগিয়ে তারপর নামাজ পড়লে নামাজ হবে???এগুলো ব্যবহার করা জায়েজ????

(২) আবার কিছু আছে ওয়াটারপ্রুফ, ওয়াটার রেসিস্টেন্ট। শুনেছি, এগুলো পানি ত্বকে পৌঁছাতে নাকি বাঁধা দেয় না। পানি লাগলেও কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
 এটা ঠিক??? এগুলো ব্যবহারের পর ওজু, গোসল হবে কি না??

(৩) ওজু করার পর মেকআপ করে, তারপর নামাজ পড়লে নামাজ হবে??

1 Answer

0 votes
by (712,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে এগুলো ব্যবহার করা উত্তম না পরিত্যাগই উত্তম?সেই প্রশ্নের জবাবে বলা যেতে পারে যে,হাদীস শরীফে আছে, 
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উক্ত হাদীসে সন্দেহপূর্ণ তথা যার ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, সে সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তা থেকে বিরত থাকতে।তাই এগুলা থেকে যদি বিরত থাকতে পারি তাহলে তো সেটা কতই না উত্তম।আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) এই ক্রিমগুলোকে অজু করারর পর না লাগানোই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এবং এগুলো লাগিয়ে নামায না পড়াই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। 

(২) যদি ক্রিমগুলো ওয়াটারপ্রুফ, ওয়াটার রেসিস্টেন্ট হয়,যেগুলো পানি ত্বকে পৌঁছাতে বাঁধা দেয়, তাহলে এগুলো থাকাবস্থায় অজুই হবে না।তবে পানি পৌছতে 

(৩) ওজু করার পর মেকআপ করে, তারপর নামাজ পড়লে নামাজে কোনো সমস্যা না। তবে যদি মেকাপ-ক্রিমে হারাম কিছু থাকে, তাহলে তখন নামায হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,880 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...