আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।
সকল যোগাযোগ বন্ধ করে, তওবা করার পর,
১)যদি দুইজন এর মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয় এতে কি কোনো *গুনাহ* এর অংশ থাকবে?এটি কি *সম্পূর্ন* জায়েজ হবে?

২)আল্লাহ কি এতে নারাজ হবেন?আল্লাহ কি অসন্তুষ্ট থাকবেন?

৩)হারাম সম্পর্ক থেকে পাওয়া উপহার,যেমনঃ বই,পারফিউম,গয়না ইত্যাদি যা গরীবদের সরাসরি দেওয়া সম্ভব না বা দিলে তাতে তাদের কোনো উপকারে আসবেনা,,,এগুলো কি যারা এগুলোকে প্রয়োজন এ লাগাতে পারবে, এমন কাউকে দেওয়া যাবে?এবং এর সমপরিমাণ অর্থ গরীবদের মাঝে দান করা যাবে?

৪)যদি শুধু তাদেরকে উপহার গুলো দেই কিন্তু  গরীবদের সমপরিমাণ অর্থ না দেই,,,,তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হারাম বিলেশনকে পরিত্যাগ করার  পর যদি উক্ত দুইজনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের পারিবারিক জীবন গোনাহময় হবে না। তবে তাদেরকে পূর্বের হারাম রিলেশনের জন্য আল্লাহর নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে। 


(২) না, এজন্য আল্লাহ নারাজ হবেন না। 

(৩) ও ৪)
হাদিয়াকে যখন কেউ গ্রহণ করে নেবে তখন সেটার সম্পূর্ণ মালিক ঐ ব্যক্তি হয়ে যাবে, যে ঐ হাদিয়াকে গ্রহণ করে নিবে।
ولا يملك المهدى إليه الهدية إلا بالقبض بإذن المهدي أو وارثه عند موته قبل القبض
হাদিয়া যার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে,সে ব্যক্তি যতক্ষণ না প্রেরক বা প্রেরকের ওয়ারিছদের অনুমতিতে গ্রহণ/কবজা না করছে,ততক্ষণ সে উক্ত জিনিষের মালিক হবে না।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৫৬)
সুতরাং যখন হাদিয়া গ্রহণের পর গ্রহণকারী এই জিনিষের সম্পূর্ণ মালিক বনে যায়,তাই সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটাকে ব্যবহার করতে পারবে।চাইলে কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।

হারাম উদ্দেশ্যে কেউ কাউকে হাদিয়া দিলে,সেই হাদিয়া অবশ্যই হারাম বলে পরিগণিত হবে।তবে প্রেরক যেহেতু অন্তরের সন্তুষ্টিতে এ সমস্ত হাদিয়া দিয়েছেন,তাই প্রাপক কবজা করে নিলে প্রাপক অবশ্যই সেটার মালিক বনে যাবে।সে হিসেবে বলা যায় যে,যদিও রিংকে ফেরৎ দেয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়,তবে মেয়ের জন্য তাকওয়ার দাবী হল,উক্ত জিনিষকে ফিরিয়ে দেয়া।

যথাসম্ভব সে সব জিনিষ বা তার মূল্য তাকে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ। যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত জিনিষকে সদকাহ করাও যাবে। বা তার মূল্যকেও সদকাহ করা যাবে। তবে সদকাহ করা বা ফিরিয়ে দেয়া ওয়াজিব নয়, বরং উত্তম ও তাকওয়ার দাবী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...