ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সহানুভূতি হিসেবে খাদ্য প্রেরণ করার পরামর্শ রাসূল সাঃ দিয়েছিলেন।হযরত জা'ফর ইবনে আবি তালিব রাযি এর শাহাদতের পর রাসূল সাঃ সাহাবাদের কে উনার বাড়িতে খাদ্য প্রেরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটা মূলত মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সহানুভূতি হিসেবে বলা হয়েছিলো।
মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাদ্য প্রেরণকে জরুরী মনে করা কখনো জায়েয হবে না।এরকম প্রচলনকে জরুরী মনে বিদআত।
কেননা মৃত ব্যক্তির বাড়িদে খাদ্য প্রেরণকে জরুরী মনে করার প্রচলিত পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ সাঃ, এবং সাহাবায়ে কেরাম বা তার পরবর্তী যুগে ছিল না।বরং এটা অনেক পরে আবিস্কৃত হয়েছে।
হাদিস শরীফে এসেছে..........
وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
তরজমা- প্রত্যেক নবসৃষ্টই বিদআত(আবু-দাউদ হাদিস নং৪৬০৭-লম্বা হাদিসের অংশ বিশেষ) উক্ত হাদিসের ব্যখ্যায় বিদআতের আলোচনা করতেড়ড়ড় যেয়ে আব্দুর রহমান মোবারকপুরি রাহ বলেন
والمراد بالبدعة ما أحدث في الدين ما لا أصل له في الشريعة يدل عليه)مراعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح -ج1ص264(
তরজমা- বিদআত দ্বারা উদ্দেশ্য হল,দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো জিনিষ নবআবিস্কৃত হওয়া,যাকে শরীয়তের মূলনীতি সমর্থন দেয়না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2907
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মৃত ব্যক্তির বাড়িতে রান্না করা যাবে না বা
যে বাড়িতে মৃত ব্যাক্তির আত্মা থাকবে,সে বাড়িতে আগুন জ্বালালে তার গায়ে তাপ লাগে।এমন আকিদা বিশ্বাসকে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না।