আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
569 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.

আমি একজনের ব্যাপারে সন্দেহবশত খারাপ ধারণা করেছি এবং তার ব্যপারে বাজে মন্তব্য করেছি। এখনো নিশ্চিত না তিনি এই কাজ করেছেন কি না। আমি তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছি এটা উনি জানেন না।
আমি কি বান্দার হক নষ্ট করলাম?
আমার কি তওবা করাই যথেষ্ট হবে নাকি তার কাছে মাফ চাইতে হবে?
সে আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত না/আলাপ হয় নি-যোগাযোগ হয় নি। তাকে ১ম বারেই যদি পরিচয় দিয়ে বলি আমি আপনার ব্যাপারে এই এই ধারণা করেছিলাম মাফ করবেন। তাহলে বিষয়টা তো শুরুতেই গলদ হয়ে গেলো।
আমার কি করা উচিত?
.

অনেক সময় পরিবারের সদস্য বা কাছের মানুষদের সাথে রাগ করে কথা বলে ফেলি। পরে সরি না বলে ভালো ব্যবহার করি। আর তওবা করি।
আমি কি আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়ার উপযুক্ত নাকি তাদের কাছে মাফ চাইতেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/641 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।আল্লাহ তা'আলা কোনো নিয়মনীতি বা সাংবিধানিক ধারার পাবন্দী নয়।বরং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যে কোনো সময় যেকোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কিন্তু আল্লাহ তা'আলা সাধারণত কিছু নিয়ম করে দিয়েছেন।এর অর্থ এ নয় যে এ নিয়মই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত।বরং এ সাধারণ নিয়ের খেলাফ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা ও অধিকার আল্লাহ তা'আলার রয়েছে।মোটকথাঃ আল্লাহ চাইলে যে কাউকে যেকোনো গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

গীবত করলে বান্দার হক্ব নষ্ট হয়।আর কেউ বান্দার হক্ব নষ্ট করলে আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না  উক্ত বান্দা ক্ষমা করে দিচ্ছে।কিন্তু যদি হক্ব নষ্ট কারী  ঐ বান্দা পরবর্তীতে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে ফেলে।এবং আল্লাহর দয়া হয়ে যায়।তাহলে আল্লাহ তা'আলা সে বান্দা কে খুশী করে দিবেন যার হক্ব দুনিয়াতে নষ্ট হয়েছিলো।এবং আল্লাহ তা'আলা উক্ত বান্দাকে সেই হক্ব নষ্টের গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।তখন আর সেই বান্দা আল্লাহ কাছে বিচার দায়ের করবে না।

এখন কথা হলো খালিছ নিয়তে বিশুদ্ধ তাওবাহ করার পদ্ধতি বা সূরত কি?
তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হলো,আল্লাহর হক্ব সম্ভলিত বিষয় হলে আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয় করে আহাজারি করা, মিনতি করা।আর বান্দার হক্ব হলে, সেই হক্ব কে আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।সেজন্য এর পিছনে সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করা।যদি নিজ সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও উক্ত বান্দার হক্বকে আদায় করা সম্ভব না হয়,বা ক্ষমা না পাওয়া যায়,তাবে আল্লাহর নিকট নিজ সেই চেষ্টার কথা তুলে ধরে সমাধান চাওয়া।এবং ভবিষ্যতে কোনো বান্দার হক্ব নষ্ট না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহকে কবুল করে নেবেন এবং উক্ত গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।

গীবতের মাধ্যমে কারো হক্ব নষ্ট করলে এভাবেও তার নিকটে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পারেন যে,শরয়ী দিবস যেমন ঈদ, আশুরা,ইত্যাদিতে তার নিকট গিয়ে বলা।
ভাই/বোন! 
আমরা এক সাথে চলাফেরা করেছি।ইসলাম সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান না থাকায় আমাদের চলাফেরায় একজন অন্যজনের কত হক্বই না নষ্ট করেছি।আপনি না করলেও আমি অবশ্যই করেছি।দয়া করে আজকের এই পবিত্র দিনে আমাকে যাবতীয় হক্ব নষ্ট করার গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিন।এভাবে ক্ষমা করিয়ে নিবেন।হ্যা ভবিষ্যতে আর এরকম কাজ কখনো করবেন না।তবেই আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সর্বপ্রথম ঐ ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইবেন, তারপর আল্লাহর নিকট গীবত থেকে তাওবাহ করবেন। 

নিজ আত্মীয় স্বজনদের প্রতি যদি ন্যায় সংগত কোনো কারণে রাগ করা হয়, এবং উচ্ছবাক্য বিনিময় করা হয়, তাহলে এর জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না। তবে সীমালঙ্গন করলে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। আর বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারো প্রতি রাগ করলে তার নিকট অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
আসলে আমি যার নামে কুধারণা করেছি বলেছি সে আর আমি একে অপরের সাথে কখনো আলোচনাই করি নি। দেখাই হয় নি। উনি জানেনও না যে আমি তার ব্যাপারে এসব বলেছি। 

আমি কি তার জন্য দুয়া করবো? আর সাদাকা করবো, তওবা করবো? 

আমি উনার সামনাসামনি হলে বিষয়টা অনেক বাজে হতে পারে। আমাদের কখনো কথা হয় নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...