আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
(১) সালাত শেষ করার পর জানা গেলো যে, এক ব্যক্তি হালকা পরিমাণ নাপাক জায়গায় সেজদা করেছে। প্রশ্ন হলো, কতটুকু নাপাকির ওপর কপাল রেখে সেজদা করে থাকলে, সেই সলাত আবার দোহরাতে বা পুনরায় আদায় করতে হবে?

(২) সালতরত অবস্থায় সেজদার সময়ে যদি জায়নামাজ থেকে কোনোরূপ গন্ধ পাওয়া যায় এবং যদি ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত কোনো মুমিনের সন্দেহ হয় যে, এতে নাপাক কিছু আছে কী-না, তাহলে সালাতরত অবস্থায় এরূপ দ্বিধায় পড়লে কী করণীয়? আর যদি হয় সেটা ইমামতি করা অবস্থায় তাহলে কী করণীয়?

মাআাসসালাম।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ الْمَسْجِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَصَلَّى فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا . فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا " . فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ بَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَأَسْرَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَهْرِيقُوا عَلَيْهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ أَوْ دَلْوًا مِنْ مَاءٍ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ " .

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক বিদুইন এসে মাসজিদে (নাবাবীতে) প্রবেশ করলো। নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন (ঐ স্থানে) বসা ছিলেন। লোকটি নামায আদায় করল। তারপর সে নামায শেষে বলল, “হে আল্লাহ! তুমি আমার উপর ও মুহাম্মাদের উপর অনুগ্রহ কর; আমাদের সাথে আর কাউকে রহম কর না।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “তুমি প্রশস্ত রাহমাতকে সংকীর্ণ করে দিলে।” লোকটি কিছুক্ষণের মধ্যে মাসজিদে পেশাব করে দিল। লোকেরা দ্রুত তার দিকে এগিয়ে গেল (আক্রমণ করার জন্য)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তিনি আবার বললেনঃ তোমাদেরকে সহজ পথ অবলম্বনকারী বা দয়াশীল করে পাঠানো হয়েছে; কঠোরতা করার জন্য পাঠানো হয়নি। (সহীহ। তিরমিজি ১৪৭.ইবনু মাজাহ– (৫২৯), বুখারী।)

শরীয়তের বিধান হলোঃ যেই স্থানে নামাজ আদায় করা হবে,সেখানে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য পুরো স্থানে পাক হওয়া জরুরি  নয়।
বরং নামাজির দুই হাত,দুই পা,দুই হাটু,আর সেজদার স্থান পাক হতে হবে।
এর আশে পাশের স্থান পাক হওয়া জরুরি নয়।
তবে বিনা ওযরে নাপাক স্থানের কাছে নামাজ পড়া মাকরুহ।
(ফাতাওয়ায়ে শামি ২/৭৪.৭৫)

★সামান্য নাপাক স্থান হলেও সেজদার সময় যদি সেই নাপাকির উপর কপাল/নাক স্পর্শ করে,তাহলে নামাজ হবেনা।
অন্যথায় নামাজ হবে।
,
(০২)
উপরে উল্লেখিত স্থান গুলোতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা ঘ্রান সম্পর্কে নিশ্চিত হলে নামাজ ছেড়ে দিবে।
নতুবা নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...