ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)
হাদীস শরীফে মাহরাম ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে।অবস্থানের নিষেধ তথায় আলোচিত হয়নি।সুতরাং মহিলার জন্য এমন কোনো স্থান যেখানে নারী-পুরুষের অবাধ মিলামিশা নেই, এবং যেখানে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শরয়ী পর্দার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে মহিলা অবস্থান করতে পারবে। তাই মহিলা হোষ্টেলে উপরোক্ত শর্তাদি পাওয়া গেলে সেখানে অবস্থান করে নারীরা লেখাপড়া করতে পারবে।অন্যথায় জায়েয হবে না।
তবে মেয়েদের জন্য হোস্টেলে রাত্রিযাপন করা কখনো উচিৎ হবে না।(খাওয়াতিন কে লিয়ে জাদিদ মাসাঈল;৬৭)
আফসোস! কওমী মহিলা মাদরাসা ব্যতীত এমন হোষ্টেল বাংলাদেশে পাওয়া যাবে কি না? সন্দেহ রয়েছে।হোষ্টেলে অবস্থানের কুফল আজ আমরা সচক্ষে দেখছি। যে ট্রাংকে বই থাকার কথা তাতে আজ আমরা কি দেখছি!!!! আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন
এমন সমস্যা বা অসুবিধে যখন মহিলার একাকি সফর ব্যতীত কোনো রাস্তাই নেই।তাহলে এমতাবস্থায় মহিলার জন্য একাকি সফর বৈধ হবে।যেমন কেউ কেউ অনুমতি দিয়ে থাকেন।
وَقَالَ حَمَّادٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - لَا بَأْسَ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُسَافِرَ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ مَعَ الصَّالِحِينَ،
মাহরাম ব্যতীত অন্যান্য নেককার লোকদের সাথে মহিলাদের সফর জায়েয হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬৬)