ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) মেয়েদের নাভির উপর কিংবা নিচের অবান্ঞ্চিত লোম ফেলা সুন্নত। গোনাহ হবার প্রশ্নই আসে না।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ বিষয়টাকে অনেকভাবে বিবেচনা করা যায়। কয়েকটি দৃষ্টিভঙ্গি নিচে তুলে ধরা হল।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স যাকে একটি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।এবং কোনো পন্যকে বাকীতে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়েও ক্রয় করা জায়েয আছে।এ হিসেবে আমরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সকে একটি পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করব।যাকে পরবর্তিতে পরিশোধ করার শর্তে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়ে আপাতত ক্রয় করা হচ্ছে।তাই আমরা বলতে পারি ১০টাকা ইমার্জেন্সি এনে ১২টাকা বা তার বেশী পরিশোধ করা বৈধ রয়েছে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফেকহী মূলনীতি
إذَا اجْتَمَعَ الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ غَلَبَ الْحَرَام
যখন হালাল এবং হারাম কোনো এক বিষয়ে একত্রিত হবে তখন হারামই বিজয়ী হবে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-১/৯৩)
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রচলিত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে অনেক রকম আলোচনা পাওয়া যায়।একদিক দিয়ে চিন্তা করলে হালাল মনে হয় আর অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে হারাম মনে হয়।সুতরাং যদিও এটা জায়েয, তবে ব্যবহার না করাই উত্তম।
(৩) অন্যত্র থাকা সম্ভব হলে উক্ত বাড়িতে থাকা যাবে না। বরং উক্ত বাড়িতে থাকা নিষেধ।
(৪) জ্বী, নামাযে হাজত আসলে নামাযকে ছেড়ে দিয়ে হাজতকে পূর্ণ করার পর অজু করে বিনা করতে হবে। অর্থাৎ একাকী হলে যেখানে নামাযকে ভঙ্গ করা হয়েছে , সেখান থেকে আবার নামাযকে পড়া হবে। আর ইমামের সাথে হলে প্রথমে বিনা কিরাতে ছুটে যাওয়া নামাযকে সমাপ্ত করে তারপর ইমামের সাথে শরীক হতে হবে।
(৫)চুক্তি পূর্ন করতে অপারগ হলে মাফ চাওয়ার সুযোগও না হলে, চুক্তি ভঙ্গের কারোনে অপর পক্ষের তেমন ক্ষতির আশংকা না থাকলে আশা করা যায়, আখেরাতে এ সম্পর্কে রুখসত দেয়া হবে। ক্ষমা করে দেয়া হবে।