জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কোনো ব্যাক্তি নামাজ কাজা থাকা অবস্থায় মারা গেলে তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ নামাজ আদায় করতে পারবেনা,তবে ফিদইয়াহ দিতে পারবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُسْأَلُ هَلْ يَصُومُ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ أَوْ يُصَلِّي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ فَيَقُولُ لَا يَصُومُ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ وَلَا يُصَلِّي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ একজন আর একজনের পক্ষে রোযা রাখিবে কি? অথবা একজন অন্যজনের পক্ষে নামায পড়িবে কি? তিনি উত্তরে বলিলেনঃ একজন আর একজনের পক্ষে রোযা রাখিবে না এবং একে অপরের পক্ষে নামাযও পড়িবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৬৬১)
عن ابن عباس رضي الله عنهما رواه النسائي في السنن الكبرى وغيره، وصحح الحافظ إسناد النسائي : لا يصلي أحد عن أحد ولا يصوم أحد عن أحد؛ ولكن يطعم عنه مكان كل يوم مدا من حنطة.
সারমর্মঃ
একে অপরের পক্ষে নামায পড়িবে না এবং একজন আর একজনের পক্ষে রোযা রাখিবে না, তবে মিসকিনকে প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে এক মুদ গম দিবে।
★নামাজের ফিদিয়াঃ বিতরসহ প্রতি ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দান করে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। যা সদকায়ে ফিতির এর টাকা পরিমাণ হয়। (ফতাওয়া শামী-২/৭২)
সহজ কথায়, প্রতিটি নামাযের জন্য সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা গরীবকে দান করে দিতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তির উচিত ছিলো মারা যাওয়ার আগে তার কাজা নামাজের ফিদিয়াহ আদায় করার অছিয়ত করে যাওয়ার।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মহিলা যেহেতু অছিয়ত করেনি,সেক্ষেত্রে অন্য কেহ তার পক্ষ থেকে ইহসান ও দয়া করে যদি ফিদিয়াহ আদায় করে দেয়,তাহলেও তার নামাজের ফিদিয়াহ আদায় হয়ে যাবে।
,
যদি তা না করা হয়,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে এই কারনে শাস্তি দিবেন।
(তবে মহান আল্লাহ চাইলে তাকে মাফও করে দিতে পারেন।)