এসময় ইবাদত বান্দেগী,কুরআন তেলাওয়াত,যিকির আযকার,প্রয়োজনীয় কাজ করা উচিত।
যদিও শারীরিক প্রবণতা হলো, ফজরের পর চোখেতে আপনা-আপনি ঘুম জড়িয়ে আসে।
,
এসময়ে ঘুমানো নাজায়েজ নয়,তবে সুন্নাতের খেলাফ।
আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করতেন-
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻷُﻣَّﺘِﻲ ﻓِﻲ ﺑُﻜُﻮﺭِﻫَ
‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন।’
সাখর রা. ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনিও তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন।’
(আবু দাউদ :২৬০৬)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রাতে আগেই ঘুমাতে হবে।
ঈশার পর খাবার খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমাতে হবে।
,
মসজিদে বা কোনো মাদ্রাসায় যেখানে ইবাদতের পরিবেশ আছে,সেখানে থেকে আপনি এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত যিকির আযকার করতে পারেন,তাহলে ইনশাআল্লাহ এই সমস্যা হবেনা।
,
প্রত্যেহ এই সময়ে কোনো কাজ রেখে দিতে পারেন,যেটির কারনে ঘুম ধরবেনা।
,
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো দিয়ে কাজ না হলে আপনি একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন,সেটি হলো ফজরের পর ইশরাক পর্যন্ত ইবাদত বান্দেগী,লেখাপড়া ইত্যাদি করে তারপর ঘুমিয়ে যাবেন।