উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পর্দার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মাঝে ক্ষাণিক পার্থক্য আছে। যেমন আকৃষ্টতা থাকুক বা না থাকুক কোন অবস্থাতেই তীব্র প্রয়োজন ছাড়া পুরুষদের জন্য গায়রে মাহরাম নারীদের দিকে তাকানো জায়েজ নয়।
কিন্তু নারীদের বেলায় দুই সূরত। যথা-
১
আকৃষ্ট হবার শংকা থাকা অবস্থায় তাকানো।
২
আকৃষ্ট হবার শংকা না হওয়া অবস্থায় তাকানো।
এক্ষেত্রে প্রথম সূরতে নারীদের জন্য পর পুরুষের দিকে তাকানো জায়েজ নয়। তবে দ্বিতীয় সূরতে জায়েজ আছে। যদিও উত্তম নয়।
এই জন্যই আমরা বলি যে আকৃষ্ট হবার শংকা না থাকলেও মাহফিলগুলোতে প্রজেক্টর ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি দেখানো উচিত নয়।
আর যদি আকৃষ্ট হবার শংকা থাকে, তাহলে এভাবে দেখে বয়ান শোনা কিছুতেই জায়েজ হবে না। [কিতাবুল ফাতওয়া-৬/১০১]
আম্মাজান আয়শা রাঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আড়ালে থেকে হাবশীদের খেলা দেখেছিলেন। [বুখারী, হাদীস নং-৫১৯০]
,
★
নারীদের আওয়াজ কি সতরের অন্তর্ভুক্ত? এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।এমনকি হানাফি মাযহাবের উলামাদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে- হানাফি উলামাদের কিছুসংখ্যকের গবেষকদের বর্ণননামতে নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত।তবে এ রেওয়াত মারজুহ। অন্যদিকে কিছুসংখ্যক গবেষকদের বর্ণনামতে নারী আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।এ রেওয়াত-ই রাজেহ ।অর্থাৎ ফিৎনার অাশঙ্কা না থাকলে কোমলতা পরিহার করে প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে কথা বলা যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM