আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পবিত্রতা (Purity) by (97 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
গতকাল ওজু করে নামাজ পরার পর দেখতে পাই পায়ের তালুতে কিছু ময়লা ছিলো এক দিরহামের কম পরিমাণ!  আমার মা কিছুক্ষন আগে হাঁস মুরগী কেটেছিলেন তার আবর্জনা ফ্লোরে  ছিটে পরেছিলো সেখান থেকেই পায়ের তালুতে লেগেছে সম্ভবত!   ওজু করার সময় সবসময় পা ভালো করে হাত দিয়ে মর্দন করি যেন সব জায়গায় পানি পৌঁছায়! এবার ও করেছিলাম কিন্তু সেই ময়লা কিভাবে থাকলো বুঝি নি! আর ময়লা টা চামড়ার সাথে মিলে শুকিয়ে ছিলো যার কারণে হাত দিয়ে ধরলেও বুঝা যায় না!  উক্ত ওজু নামাজ কি হয়েছিলো?!  পায়ের তালুর ঐ অংশে যদি পানি না পৌঁছে তাই সন্দেহ হচ্ছে কিন্তু অনেক ভালো করেই পা ধুয়েছিলাম ওজুতে! পুনরায় সেই নামাজ পরি নি আর! গুনাহ হয়েছে এতে?!

1 Answer

0 votes
by (707,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি অজু করার পূর্বে এই ময়লা লেগে থাকে,এবং এমনভাবে লেগে থাকে যে,তা অজুর পানি পৌছতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাহলে আপনার অজু হয়নি।আপনাকে আবার অজু করতে হবে।এবং অজু করার পরবর্তীতে যতগুলো নামায পড়া হয়েছিলো,সবগুলো নামাযকে আবার পূণরায় পড়তে হবে।

https://www.ifatwa.info/12596 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
وإزالتها إن كانت مرئية بإزالة عينها وأثرها إن كانت شيئا يزول أثره ولا يعتبر فيه العدد. كذا في المحيط فلو زالت عينها بمرة اكتفى بها ولو لم تزل بثلاثة تغسل إلى أن تزول، كذا في السراجية.
দৃশ্যমান নাজাসত কে সম্ভব হলে তার আছর সহ দূর করলেই(কাপড় বা শরীর) পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে দৌত করার সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় (মুহিত)
যদি একবার দৌত করার দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে সে দৌত্যকর্ম টিই তা পবিত্র হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।তবে যদি তিনবার দৌত করার দ্বারা নাজাসত দূর না হয় তাহলে সে পর্যন্তই দৌত করতে হবে যে পর্যন্ত না নাজাসত দূর হচ্ছে।
وإن كانت شيئا لا يزول أثره إلا بمشقة بأن يحتاج في إزالته إلى شيء آخر سوى الماء كالصابون لا يكلف بإزالته. هكذا في التبيين وكذا لا يكلف بالماء المغلي بالنار. هكذا في السراج الوهاج.
আর যদি নাজাসতের আছর এমন হয় যে,কষ্ট করা ব্যতীত তা দূর হবে না তথা এটা দূর করতে পানি ব্যতীত ভিন্ন জিনিষের মুখাপেক্ষী হতে হয়। যেমন সাবান ইত্যাদি।তাহলে এমতাবস্থায় আছর দূর করার হুকুম দেওয়া হবে না। (তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,280 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 62 views
...