হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
عن معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم
قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ
النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে। (আস-সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।
প্রকাশ্যে গোনাহে জড়িত ফাসিক বাবা নিজের গোনাহ প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে কোনো প্রকার পরওয়াহ করে না।এমন ব্যক্তিদের কৃত পাপ সম্বন্ধে লোকদের সতর্ক করা হবে ও বারণ করা হবে।তার ফিসক ও গোনাহ অন্যর জন্য আলোচনা সমালোচনা এজন্য বৈধ যে, সে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজে নিজের নফসের হুরমতকে নষ্ট করে ফেলেছে।তবে সাবধান তার এমন কোনো আলোচনা করা যাবে না,যা সে নিজেও লুকিয়ে রাখতে চায়,এবং সে যা করেনি তাও আলোচনা করা যাবে না।
সালেহ আল মুনাজ্জিদ বলেন,
ইবনে তাইমিয়াহ বলেছেন, প্রকাশ্যে গোনাহকারীর আলোচনা গিবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।যেমন হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে।কেননা যখন কেউ প্রকাশ্যে কোনো গোনাহে লিপ্ত হবে,তখন সে মুসলমানদের তিরস্কারের যোগ্য।সর্বনিম্ন হলো যে,মুসলমানগণ তার মন্দকে নিয়ে আলোচনা করবে যাতেকরে লোকদিগকে তার মন্দ আচরণ থেকে বাঁচানো যায়,এবং তার সংস্পর্শ থেকে বাঁচানো যায়।যদি তার কুকুর্মের আলোচনা উঠে না আসে তাহলে লোকজন তাকে নিয়ে ধোকায় পড়বে।যখন তার সমালোচনা সামনে চলে আসবে,তখন লেকজন তার কুকর্ম থেকে ও তার সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারবো যে,যে ব্যক্তি ফিসকের কাজে জড়িত রয়েছে।তার সমালোচনা করা যাবে।তবে এ বিষয়ে দু'টি জিনিষের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
- (১)তার ঐ গোনাহের কাজ হতে হবে প্রকাশ্যে বা কারো হক্ব সম্পর্কিত এবং সে বারংবার করেছে বা করার ইচ্ছা পোষণ রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো গোনাহ লুকিয়ে লুকিয়ে করে এবং জনসম্মুখে না করে,শুধুমাত্র দুয়েকজন জানতে পেরেছে,এমন ব্যক্তিকে উক কৃত গোনাহে লুকিয়ে রাখা মুস্তাহাব।এবং সাথে সাথে তাকে নসিহত করতে হবে।নসিহত করার পরও যদি সে আবার ঐ কাজে লিপ্ত দেখা যায়,তাহলে বুঝা যাবে সে তাওবাহ করেনি।সুতরাং এমতাবস্থায় তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে তার গোনাহর কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে।আরো জানতে ভিজিট করুন- 906
- (২)কারো গোনাহর আলোচনা করতে যেয়ে যেন সীমালঙ্ঘন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
যেহেতু শাহেদের উক্ত দুর্নীতি মুসলমানদের হক সংশ্লিষ্ট সুতরাং দেশের সকল জনগণ এমন গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখতে তার সমালোচনা করা যাবে।