আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+7 votes
411 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের নানা অপকর্মের খবর দেশব্যাপী আলোচিত হচ্ছে।ফেসবুকে অনেককে দেখা যাচ্ছে সাহেদকে নিয়ে ট্রল,মিম বানাতে।এটা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
by (676,840 points)
জাযাকাল্লাহ মুহতারাম!  

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

عن معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ  وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে। (আস-সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।

প্রকাশ্যে গোনাহে জড়িত ফাসিক বাবা নিজের গোনাহ প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে কোনো প্রকার পরওয়াহ করে না।এমন ব্যক্তিদের কৃত পাপ সম্বন্ধে লোকদের সতর্ক করা হবে ও বারণ করা হবে।তার ফিসক ও গোনাহ অন্যর জন্য আলোচনা সমালোচনা এজন্য বৈধ যে, সে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজে নিজের নফসের হুরমতকে নষ্ট করে ফেলেছে।তবে সাবধান তার এমন কোনো আলোচনা করা যাবে না,যা সে নিজেও লুকিয়ে রাখতে চায়,এবং সে যা করেনি তাও আলোচনা করা যাবে না। 

সালেহ আল মুনাজ্জিদ বলেন,
ইবনে তাইমিয়াহ বলেছেন, প্রকাশ্যে গোনাহকারীর আলোচনা গিবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।যেমন হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে।কেননা যখন কেউ প্রকাশ্যে কোনো গোনাহে লিপ্ত হবে,তখন সে মুসলমানদের তিরস্কারের যোগ্য।সর্বনিম্ন হলো যে,মুসলমানগণ তার মন্দকে নিয়ে আলোচনা করবে যাতেকরে লোকদিগকে তার মন্দ আচরণ থেকে বাঁচানো যায়,এবং তার সংস্পর্শ থেকে বাঁচানো যায়।যদি তার কুকুর্মের আলোচনা উঠে না আসে তাহলে লোকজন তাকে নিয়ে ধোকায় পড়বে।যখন তার সমালোচনা সামনে চলে আসবে,তখন লেকজন তার কুকর্ম থেকে ও তার সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারবো যে,যে ব্যক্তি ফিসকের কাজে জড়িত রয়েছে।তার সমালোচনা করা যাবে।তবে এ বিষয়ে দু'টি জিনিষের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
  1. (১)তার ঐ গোনাহের কাজ হতে হবে প্রকাশ্যে বা কারো হক্ব সম্পর্কিত এবং সে বারংবার করেছে বা করার ইচ্ছা পোষণ রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো গোনাহ লুকিয়ে লুকিয়ে করে এবং জনসম্মুখে না করে,শুধুমাত্র দুয়েকজন জানতে পেরেছে,এমন ব্যক্তিকে উক কৃত গোনাহে লুকিয়ে রাখা মুস্তাহাব।এবং সাথে সাথে তাকে নসিহত করতে হবে।নসিহত করার পরও যদি সে আবার ঐ কাজে লিপ্ত দেখা যায়,তাহলে বুঝা যাবে সে তাওবাহ করেনি।সুতরাং এমতাবস্থায় তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে তার গোনাহর কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে।আরো জানতে ভিজিট করুন- 906
  2. (২)কারো গোনাহর আলোচনা করতে যেয়ে যেন সীমালঙ্ঘন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

যেহেতু শাহেদের উক্ত দুর্নীতি মুসলমানদের হক সংশ্লিষ্ট সুতরাং দেশের সকল জনগণ এমন গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখতে তার সমালোচনা করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...