বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বৃষ্টির সময় রাস্তার ড্রেন ভরে পানি রাস্তায় এসে পড়ে,এখন ঐ রাস্তায় হাটতে হলে ঐ পানি পাড়িয়ে যেতে হবে। এখন হাটতে গিয়ে যদি চামড়ার স্যান্ডেলে (চটি)একটু পানি লাগে,তারপর যদি স্যান্ডেল পড়া অবস্থায় ভাল পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলা হয়, তাহলে ঐ স্যান্ডেও পবিত্র হয়ে যাবে।
(২)
বাথরুমে কোথাও নাপাক পানি পড়লে, তাকে পানি ঢেলে ধোয়ার সময়,ঐ পানি বাথরুমে রাখা জুতা ঘেষে ড্রেনে পরে যায়। ঐ জুতা নাপাক হয়ে যাবে। তবে উক্ত জুতার পাশ দিয়ে ধারাবাহিক পানি অতিক্রম করলে বা একের অধিকবার পানি অতিক্রম করলে,সেই জুতা নাপাক হবে না।
(৩)
হাতের নাপাকি ধোয়ার সময়,যদি পাশে রাখা কাঠের বা পাষ্টিকের ফার্নিচারে সামান্য ছিটা পড়ে।এবং তা যদি কাপড় ভিজিয়ে কয়েকবার মুছা হয়।তাহলে আর কোন সমস্যা বাকী থাকবে না,বরং উক্ত জিনিষ পাক হয়ে যাবে।
(৪)
যদি বাসার গেটের সমনে কোনো বাচ্চা প্রশাব করে।বৃষ্টি এসে যদি গেটের ঐ খানে পানি দিয়ে ভরে যায়(বেশি বৃষ্টি আসলে অবশ্য পানি গেটের বাহিরেও রাস্তায় চলে যায়) এবং প্রশাব ঐ পানির সাথে মিশে যায়, তাহলে পুরো পানি নাপাক হবে না, বরং পাকই থাকবে।হ্যা,যৎসামান্য বৃষ্টি হলে,উক্ত পানি নাপাক হবেই।
(৫)
গোসলের সময় শরীরে পানি ঢালা শেষে অনেক সময় মনে হয় নাভির ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে পরিষ্কার করা হয়নি।শরীর ভিজা থাকা অবস্থায় ভিজা হাত নাভিতে ঢুকিয়ে পরিষ্কার করলেই হয়ে যাবে।
(৬)
অনেক সময় টিনের চালে বিড়াল পায়খানা করে,এখন বৃষ্টির সময় চাল থেকে যে পানি পড়বে তা নাপাক হবেনা।আবার গেটে পাখি পায়খানা করে,বৃষ্টির সময় গেট চুইয়ে পানি পড়ে গেটের সামনে জমে থাকে ,তাও নাপাক হবে না।
একই প্রশ্নকে বারংবার না করার বিশেষ অনুরোধ।