আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
305 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আস সালামু আলাইকুম... আমি একটি অনলাইন শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদি বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে চাই (ইন শা আল্লাহ) । প্রশ্ন-ঃ ক্রেতাদের একটা বড় অংশ হয়তো শার্ট পাঞ্জাবি পড়ে ফ্যাশান করবে বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে অর্থাৎ মেয়েদেরকে #আকৃষ্ট_করার জন্য (বাংলাদেশের পরিস্থিতি সাপেক্ষে এটা অনুমান) কিংবা #অহংকার_প্রদর্শনের নিমিত্তে __ এমতাবস্থায় একজন বিক্রেতা হিসেবে, আমি কি তাঁর এই অনৈতিক কাজে সাহায্যকারি হিসেবে দোষী সাব্যস্থ্য হবো ??? এক্ষেত্রে কি আমার এই ব্যবসা করা জায়েজ হবে ???

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/242 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়,তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ-

প্রথম অবস্থাঃ-
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয।এতে কোনো অসুবিধা নেই।

দ্বিতীয় অবস্থা
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সুন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।সূরা মায়েদা-০২
অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/242 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (1 point)
সম্মানিত মুহতারাম...

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি মেয়েদের কোনো পোশাক বিক্রি করবো না (ইন শা আল্লাহ)... আর পুরুষের পোশাকের ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব জায়েজ পোশাক নিয়েছি, বিক্রির উদ্দেশ্যে... আর আপনিও হয়তো মোটামুটি জানেন যে, এদেশের অধিকাংশ মানুষ-ই বিভিন্ন ফেতনায় জড়িত ...  এমতাবস্থায় তাকওয়ার খাতিরে যদি একজন মুসলমান যদি এই ব্যবসাকে হারাম বলেই ধরে নেয়, তাহলে এই হালাল ব্যবসা খুজে বের করা খুব-ই দুষ্কর... উদাহরণ স্বরুপ-   মানুষ মোবাইল-কম্পিউটার দিয়ে অশ্লীল কাজ করে আজকের এই সময়ে___ তাই এর বিক্রি ব্যবসা হারাম ক্যাটাগরিতে পড়ে যাবে ।
তাছাড়া শুধু গার্মেন্টসের কাপড়ের ব্যাবসার কথাও  যদি বলি সেখানে ফ্যাশন পোশাক তৈরি করে... এটাও হারামের ক্যাটাগরিতে পড়বে...  

প্রিয় মুহতারাম,
এভাবে যদি খুজে দেখি, তাহলে হয়তো হালাল ব্যবসা খুজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে... !!!

এখানে ইন শা আল্লাহ মোটামুটি আমার উপস্থাপিত ব্যবসা অবস্থা স্পষ্ট ... অতএব দয়া করে, একটু বলে দিন এই ব্যবসা জায়েজ কিনা ???

হ্যা অথবা না... যেকোনো একটা !!! কারণ আমি ব্যবসা খুজতে গেলে সেখানে কিছু না কিছু হারাম পেয়ে যাই... আমি মানসিকভাবে অনেক পেরেশানিতে আছি... আমাকে মাফ করবেন ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...