ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) মুসলিম অমুসলিম এক সাথে না থাকাই মূলত শরীয়তের বিধান। হ্যা অপারগতা বশত অমুসলিমের সাথে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং আপনার ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে। অমুসলিমের সাথে থাকলে গোনাহ হবে না ঠিক তবে ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/277
(২) নামায মানেই দুআ। নামাযের এক অর্থ হল, দুআ। সুতরাং কোনো নামায কবুল হওয়ার জন্য দুআ শর্ত নয়। হ্যা, নামাযের পর দুআ করা মুস্তাহাব। এবং সম্মিলিত ভাবে দুআ করা জায়েয।
https://www.ifatwa.info/1604 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২২) আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আসরের সালাতের পূর্বে নফল নামায যেমন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ ইত্যাদি নামায পড়া যাবে,তবে আসরের নামায পড়ার পর আর কোনো প্রকার নফল নামায পড়া যাবে না। তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ এবং বিবিধ নফল নামাযের বিধান জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1330
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুআ সকল নামাযের শেষে হওয়াই উত্তম। এবং শুধুমাত্র ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আর তহিয়্যাতুল অজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়া যাবে না। আর অন্যান্য ওয়াক্তে পড়া যাবে। এবং আছরের নামায পড়ার পর আর তাহিয়্যাতুল অজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়া যাবে না।
সুতরাং সাধারণভাবে মৃত্যু-সংবাদ পৌঁছাতে কোনো সমস্যা নেই। আর তা মৌখিকভাবে যেমন করা যায়, তদ্রূপ বর্তমানে মাইকের মাধ্যমে আরো সহজেই পৌঁছানো যায়।
উল্লেখ্য যে, জানাযা কখন হবে এটি কোনো এলাকায় একবার জানিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মাইকে একই ঘোষণা বহুবার করা হয়ে থাকে। এমনটি করা ঠিক নয়। কেননা এতে অন্যদের কষ্ট হতে পারে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জানাযায় বেশ লোকসমাগম হওয়ার স্বার্থে ছেলেদের মত মেয়েদের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা যাবে । এই প্রচার আশপাশ এলাকায় করা যেতে পারে। মাইকিং করলে নাম উচ্ছারণ না করাই উত্তম। বেশ দূর দূরান্তে না করাই শ্রেয়।
(৪) মুসলিমরা শিরক করার পর তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
(৫) যানবাহনে নিয়মিত নারী-পুরুষ পাশাপাশি বসা কখনো জায়েয হবে না। নারী পুরুষ উভয়কেই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।প্রয়োজনো কলেজ-ভার্সিটিকে বদলাতে হবে। জেনারেল শিক্ষার অনুমোদন মূলত নারী-পুরুষের অবাদ মেলা-মেশা না থাকার শর্তেই বৈধ আখ্যা দেয়া হয়েছিলো। বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ফরযে কেফায়া। তথা উম্মতের কিছু মানুষ আদায় করে নিলে তা সমস্ত উম্মতের পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে। অন্যদিকে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে ঘষাঘষি করে গায়ে গায়ে মিলিত অবস্থায় বসা বা নারী-পুরুষের অবাদ মিলামিশা থেকে নিজেকে বাছিয়ে রাখা ফরযে আইন। তথা ব্যক্তিগত ভাবে সবার উপর ফরয। তাই অন্য কোনো উপায় না থাকলে এ হারাম থেকে নিজেকে নাজাত দিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে জ্ঞান অর্জন করাই একজন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/525