আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
358 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।
১.আমার এক বান্ধবী দুই জন রুমমেট এর সাথে একটি ফ্ল্যাটে থাকে ঐ দুই জনই আলাদা দুই ধর্মের। এখন সে তার রুমে নামাজ পড়ে সেখানে কোন মূর্তি বা পোস্টার নেই। কিন্তু কোরআন তেলাওয়াত করে ডাইনিং রুমে অন্যদের ঘুমের ডিষটার্ব হয় বলে। আর ডাইনিং এ রয়েছে তাদের মধ্যে একজনের বাবার ছবি আর অন্য জনের মূর্তির ছবি। এখন ঐ খানে বসে কোরআন তেলাওয়াত কি হবে নাকি হবেনা?


২.যদি তাহিয়্যাতুল নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে তারপর আবার ফজরের নামাজের নিয়ত করে নামাজ শেষ করে মোনাজাত ধরি তাহলে কি হবে নাকি তাহিয়্যাতুল নামাজ শেষ করে মোনাজাতও শেষ করে তারপর অন্য নামাজের নিয়ত করব?
তাহিয়্যাতুল ওজুর নামাজ কি পাচ ওয়াক্ত নামাজের সময় পড়তে পারব?


৩.মানুষ মারা গেলে শুধু ছেলে মানুষের মাইকিং করা হয় কেনো মেয়েদের মাইকিং করা হয় না ? মাইকিং করলে তো মানুষ জানবে আর জানাজায় অংশ নিতে পারবে ।আসলেই কি মেয়েদের ক্ষেএে মাইকিং করা নিষেধ আছে ?


৪.যদি মুসলিমরা শিরক করলে আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করেনা, তাই বলে কি অনন্তকাল জাহান্নামে জ্বলবে?


৫. আমার ভার্সিটি বাসা থেকে অনেক দূর।তাই আমি ভার্সিটির বাসে করে ভার্সিটি যাই। কিন্তু সব স্টুডেন্টই বাসে করে ভার্সিটি যেতে চায় তাই বাসে উঠার সময় অনেক ভিড় হয়।ছেলেমেয়ে ধাক্কাধাক্কি করে একসাথে উঠে। ভিতরেও সবাই একসাথে বসে বা জায়গা না পেলে ছেলেমেয়ে সবাই দাড়িয়ে থাকে।


ভার্সিটির বাসে করে না গিয়ে সিএনজি করে ও যাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু দূরের পথ তাও আবার আমাকে একা একা যেতে হয় তাই সিএনজি তে যেতে খুব ভয় করে। কেমন লোকজন উঠে বসে পাশে, ড্রাইভার কেমন হয়,যদি আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে যায় (কারণ এমন ঘটনা রাস্তাঘাটে অহরহ ঘরে) এসব ভয়ে সিএনজি তে যাই না। কষ্ট হলেও ভার্সিটির বাসে করে যাই। ওখানে ভয় থাকে না ড্রাইভার সহ সব স্টুডেন্ট রা আমরা একই ভার্সিটির। এক্ষেত্রে আমার যতটুকু দূরত্ব বজায় রেখে বাসে যাওয়া সম্ভব সেভাবে বাসে গেলে কোন গুনাহ হবে? বা এটাকি ঠিক হবে? বিঃদ্রঃ আমি সম্পূর্ণ পর্দায় চলি।আর বাবা মা ও আমাকে ভার্সিটি নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ নেই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) মুসলিম অমুসলিম এক সাথে না থাকাই মূলত শরীয়তের বিধান। হ্যা অপারগতা বশত অমুসলিমের সাথে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং আপনার ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে। অমুসলিমের সাথে থাকলে গোনাহ হবে না ঠিক তবে ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/277

(২) নামায মানেই দুআ। নামাযের এক অর্থ হল, দুআ। সুতরাং কোনো নামায কবুল হওয়ার জন্য দুআ শর্ত নয়। হ্যা, নামাযের পর দুআ করা মুস্তাহাব। এবং সম্মিলিত ভাবে দুআ করা জায়েয। 
 https://www.ifatwa.info/1604 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২২) আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আসরের সালাতের পূর্বে নফল নামায যেমন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ ইত্যাদি নামায পড়া যাবে,তবে আসরের নামায পড়ার পর আর কোনো প্রকার নফল নামায পড়া যাবে না। তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ এবং বিবিধ নফল নামাযের বিধান জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1330

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুআ সকল নামাযের শেষে হওয়াই উত্তম। এবং শুধুমাত্র ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আর তহিয়্যাতুল অজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়া যাবে না। আর অন্যান্য ওয়াক্তে পড়া যাবে। এবং আছরের নামায পড়ার পর আর তাহিয়্যাতুল অজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়া যাবে না। 

(৩) https://www.ifatwa.info/5993 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলা হয়েছে যে, 
সুতরাং সাধারণভাবে মৃত্যু-সংবাদ পৌঁছাতে কোনো সমস্যা নেই। আর তা মৌখিকভাবে যেমন করা যায়, তদ্রূপ বর্তমানে মাইকের মাধ্যমে আরো সহজেই পৌঁছানো যায়।
উল্লেখ্য যে, জানাযা কখন হবে এটি কোনো এলাকায় একবার জানিয়ে  দেওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মাইকে  একই ঘোষণা বহুবার করা হয়ে থাকে। এমনটি করা ঠিক নয়। কেননা এতে অন্যদের কষ্ট হতে পারে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জানাযায় বেশ লোকসমাগম হওয়ার স্বার্থে ছেলেদের মত মেয়েদের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা যাবে । এই প্রচার আশপাশ এলাকায় করা যেতে পারে। মাইকিং করলে নাম উচ্ছারণ না করাই উত্তম। বেশ দূর দূরান্তে না করাই শ্রেয়।

(৪) মুসলিমরা শিরক করার পর তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। 

(৫) যানবাহনে নিয়মিত নারী-পুরুষ পাশাপাশি বসা কখনো জায়েয হবে না। নারী পুরুষ উভয়কেই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।প্রয়োজনো কলেজ-ভার্সিটিকে বদলাতে হবে। জেনারেল শিক্ষার অনুমোদন মূলত নারী-পুরুষের অবাদ মেলা-মেশা না থাকার শর্তেই বৈধ আখ্যা দেয়া হয়েছিলো। বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ফরযে কেফায়া। তথা উম্মতের কিছু মানুষ আদায় করে নিলে তা সমস্ত উম্মতের পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে। অন্যদিকে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে  ঘষাঘষি করে গায়ে গায়ে মিলিত অবস্থায় বসা বা নারী-পুরুষের অবাদ মিলামিশা থেকে নিজেকে বাছিয়ে রাখা ফরযে আইন। তথা ব্যক্তিগত ভাবে সবার উপর ফরয। তাই অন্য কোনো উপায় না থাকলে এ হারাম থেকে  নিজেকে নাজাত দিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে জ্ঞান অর্জন করাই একজন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/525


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...