বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।এব তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
তাহাজ্জুদের নামায ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে পড়তে হবে।সুতরাং
৩ঃ৪৬ মিনিটের পূর্বেই তাহাজ্জুদ পড়ে নিতে হবে। আজানের ২০ মিনিট আগে উঠে পড়া যাবে না।কেননা তখন ফজরের নামাযের ওয়াক্ত।এ সময় ফজরের সুন্নত ব্যতীত আর কোনো নফল পড়া যাবে না।
কেউ যদি ৩ঃ৪৬ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে নেয়, তারপর ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে, মসজিদের আজান ব্যতীতও ফজরের নামায পড়া যাবে।
(২)
দু-রাকাত দু-রাকাত করে সূরা মিলিয়ে তাহাজ্জুদের নামায পড়তে হবে।
(৩)সালাতের নিষিদ্ধ সময়ে দোয়া করা যাবে।