আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

আমার নাম হাসান আহমাদ। লোকে যখন জিজ্ঞেস করে তখন বলি "হাসান আহমাদ"।

অর্থাৎ---  হাসান বলার সময় হাসান নামের "বড়-হা" বলি না (ছোট-হা দিয়ে হাসান বলি) ্‌,মানে  ------

  ( حসান না বলে , هসান বলি))

এবং "আহমাদ" বলার সময় আহমাদ নামের "আলিফ এর পরে যে "বড়-হা" আছে ওই "বড়-হা" এর স্থলে 'ছোট-হা' দিয়ে আহমাদ বলি মানে------

(আحমাদ না বলে্‌,     আهমাদ বলি) 

এইভাবে দুই নামের দুই জায়গায় "বড়-হা" এর জায়গায় "ছোট-হা" দিয়ে (হাসান এবং আহমাদ) উভয়-ই নাম এভাবে ছোট হা দিয়ে বললে

১।আমার কোন গুনাহ হবে কি?

২। উপোরক্ত বর্নিত লাল লিখাংশ হচ্ছে উদাহরন। এইভাবে বড় হা এর জায়গায় আমি ছোট হা দিয়ে আমার নাম বললে আমার ঈমান নষ্ট হবে কি?

  (কেননা, পবিত্র কোরআন শারীফে যেভাবে "হাসান এবং আহমাদ" শব্দ শুদ্দ্বভাবে দেয়া আছে সেভাবে আমি  বলি না। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে উপোরক্তভাবে আমি আমার নাম বললে অর্তাত উপরে বর্নিত ভুল করলে আমার ঈমান নষ্ট হবে কি??))

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তাজবিদ শিক্ষাঃ
তাজবিদের যে কায়দা সমূহ আদায় না করিলে অর্থের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে সে সমস্ত কায়দাকে শিক্ষা করা ও সেই কায়দা অনুযায়ী কুরআন তেলাওয়া  করা ফরয। অন্যদিকে যে সমস্ত কায়দা-কে ফলো না করলে অর্থের মধ্যে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসবে না সেগুলোকে শিক্ষা করা ও সে অনুযায়ী কুরআন তেলাওয়াত করা মুস্তাহাব। এ কায়দা সমূহকে ফলো না করলে তেলাওয়াত কারী গোনাহগার হবে না।

তাজবিদ এর অর্থঃ
তাজবিদের শাব্দিক অর্থ- সুন্দর্য্য।
পরিভাষায় তাজবীদ- সিফাত আদায় পূর্বক মাখরাজ হতে হরফের উচ্ছারণকে তাজবিদ বলে। (অর্থাৎ-পরিভাষায় তাজবিদ বলা হয়,মাখরাজ হতে হরফ সমূহের উচ্ছারণ ও চিকন-গাড় স্বরের সিফাত সমূহের আদায় করণ এবং কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি ব্যতীত আওয়াজকে লম্বা করে উচ্ছারণ করণ কে)

তাজবিদ বিষয়ে পূর্ণ পাণ্ডিত্য অর্জন করা ফরযে কেফায়াহ। তথা একশ্রেণী লোক তাজবিদের বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলে অবশিষ্ট উম্মতের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।ব্যক্তিগত ভাবে তাজবিদের সাধারণ জ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে মুতা'আখখিরিন উলামায়ে কেরাম বলেন, তাজবিদের এমন পরিমাণ জ্ঞান যা আদায় না করিলে অর্থ পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে যেতে পারে, এমন জ্ঞান অর্জন করা ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।আর এমন জ্ঞান যা আদায় না করলে আপাত দৃষ্টিতে অর্থের মধ্যে কোনো প্রকার সমস্যা করবে না, বরং যা তেলাওয়াতের সুন্দর্য্য-কে বৃদ্ধি করে,সেই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের উপর মুস্তাহাব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন শরীফ পড়ার জন্য তাজবীদ (পড়ার সৌন্দর্য) শিক্ষা করা মুস্তাহাব। আর কুরআন ছাড়া এমনি আরবী ভাষায় তাজবীদের শিক্ষা ফরয বা ওয়াজিব হওয়ার কথা নয়। আপনি "বড়-হা" এর জায়গায় "ছোট-হা" দিয়ে (হাসান এবং আহমাদ) পড়তে পারবেন। এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...