আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
367 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. বিসমিল্লাহ না বললে নাকি ওজু হবে না?? আমি তো বাথরুমে ওজু করি সেখানে তো মুখে উচ্চারণ করা যাবে না... মুখে বিসমিল্লাহ না বলে মনে মনে বললে কী ওজু হবে??


২.বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এর শেয়ারের ব্যবসা কি হালাল?


৩. এমন কোনো জিনিষ ব্যাবহার করা যাবে যা হারাম ইনকাম এ।না হালাল না হারাম না জানলে কি করব? যেমন : কোনো বান্ধবীর বই আনলাম এখন এটা কোন টাকায় কিনা বুঝতেসি না এই অবস্থায়??বা কারো কাছ থেকে তার বই এর ছবি চাবো তখন তার বই যে টাকা দিয়ে কিনা হইসে তা হালাল না হারাম মানে কেমন টাকা খরচ করা হইসে জানি না তখন কি করবো???


৪. কোন মেয়ে যদি বাবা,মাকে কষ্ট দিয়ে একা বিয়া করে। সে ক্ষেএে যদি বাবা তাকে মেনে না নেয়, এবং তার কোন খোজ খবর না নেয় এতে কি বাবর কোন পাপ হবে।আর সে মেয়ের কি বাবর ঘরে কোন অধিকার আছে কি?

১২বছর সংসার করার পরে মেয়েটির ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পরেও কোন খোজ বাবা নিচ্ছেনা মেয়েটি একা এখন নিজে কাজ করে খায়। এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে। দয়া করে ভাই উওরটি দিবেন।
by
আমি মাসআলা বিষয়ে জানতে চাই।তাই দেখা করা দরকার। আপনার ঠিকানা কি

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) বিসমিল্লাহ না বললে অজু হবে না, কথাটি বিশুদ্ধ নয়। বরং অজু হবে। তবে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। বাথরুমের ভিতর যদি টয়লেট থাকে, তাহলে আপনি বাথরুমে গিয়ে অজুর করার সময়ে বিসমিল্লাহ বলতে পারবেন না। বাথরুমে প্রবেশ করার পূর্বে বা পরে আপনাকে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। 

(২) https://www.ifatwa.info/841 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর
উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷
(ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷)
হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে এ ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক৷আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/841 

(৩) যদি কোনো জিনিষ সম্পর্কে হালাল হারাম জানা না যায়, তাহলে প্রত্যেক জিনিষের মৌলিকত্ব যেহেতু হালাল তাই উক্ত জিনিষকে হালাল হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। 

(৪) পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না। তবে বিয়ে হয়ে গেলে বাবা মেয়ের মেনে নেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে বাবা মায়ের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না, যদি তারা মেয়ের সাথে সম্পর্ক কে পরিত্যাগ করে । কেননা তাদের মনে মেয়ের অবাধ্যতার কষ্ট রয়েছে। হ্যা, বাবা মায়ের সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার অবশ্যই থাকবে। 

বাবার উচিৎ মেয়ের খোজখবর নেওয়া। বাবার সামর্থ্য থাকার পরও যদি মেয়ের খোজখবর না নেয়, তাহলে এর জন্য বাবাবে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...