ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) বিসমিল্লাহ না বললে অজু হবে না, কথাটি বিশুদ্ধ নয়। বরং অজু হবে। তবে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। বাথরুমের ভিতর যদি টয়লেট থাকে, তাহলে আপনি বাথরুমে গিয়ে অজুর করার সময়ে বিসমিল্লাহ বলতে পারবেন না। বাথরুমে প্রবেশ করার পূর্বে বা পরে আপনাকে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর
উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷
(ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷)
হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে এ ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক৷আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/841
(৩) যদি কোনো জিনিষ সম্পর্কে হালাল হারাম জানা না যায়, তাহলে প্রত্যেক জিনিষের মৌলিকত্ব যেহেতু হালাল তাই উক্ত জিনিষকে হালাল হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
(৪) পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-
https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে
https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1524
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না। তবে বিয়ে হয়ে গেলে বাবা মেয়ের মেনে নেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে বাবা মায়ের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না, যদি তারা মেয়ের সাথে সম্পর্ক কে পরিত্যাগ করে । কেননা তাদের মনে মেয়ের অবাধ্যতার কষ্ট রয়েছে। হ্যা, বাবা মায়ের সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার অবশ্যই থাকবে।
বাবার উচিৎ মেয়ের খোজখবর নেওয়া। বাবার সামর্থ্য থাকার পরও যদি মেয়ের খোজখবর না নেয়, তাহলে এর জন্য বাবাবে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে।