একটা এক্সিডেন্টের কারণে হঠাৎ করেই আব্বুকে দেশে চলে আসতে হলো। কোন পুঁজি ছিলো না। সংসারে আব্বু-আম্মু ছাড়াও আমরা দু'ভাইবোন। ভাই ছোট, আমি বড়। জীবিকার জন্য আব্বু একটা খাবারের হোটেল করতে চাইলেন। কোন পুঁজি না থাকায় একটা বিশাল অংকের টাকা ঋণ করে এটা শুরু করতে হয়েছিলো। বেচা-কেনা কখনও ভালো আবার কখনও খুব খারাপ। যে টাকা হতো সেটা দিয়ে ঋণ শোধ করা আর সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে যায়। এর মধ্যে দিয়ে আমার অনার্স শেষ হয় এ বছর। চেয়েছিলাম যত কষ্টই হোক না কেন, চাকরিজীবনে পা রাখবো না। যখন থেকে দ্বীনি বুঝ আল্লাহ্ পাক দিয়েছেন, কিছুটা হেদায়াতের আলো পেয়েছি আর এটাও বুঝেছি আমার ঈমান এতোটা মজবুত না যে যেকোন পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারবো তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম এসব জটিলতার মধ্যে যাবো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, চারিদিক থেকে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। আব্বুর বয়স হয়ে যাওয়ায় তার কষ্ট হয়ে যায় অনেক, ভাই এখনও ছোট। নিজের দায়িত্ব বা পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার মত অবস্থা এখনও হয়নি ওর৷ নিজেদের বিশেষ কোন জায়গা-জমি বা ঘর-বাড়িও নেই যে সেটার মাধ্যমে কিছু করা যেতে পারে৷ বাসা ভাড়া, ভাইয়ের স্কুল/ব্যাচের বেতন সময়মত দিতে না পারায় সেখানেও টাকা জমছে দিনকে দিন৷ যদিও দুটো টিউশন করাচ্ছি কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত না৷
এমতাবস্থায় কি করবো, কি করবোনা বুঝে উঠতে পারছি না৷ একজন মুমিনের সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত। এটাই ঈমানের দাবি। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না তাওয়াক্কুলের তরীকা কোনটা হবে বা কেমন হবে?!