আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in সালাত(Prayer) by (60 points)

আসসালামু আলাইকুম।
১।সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হয়েছিলো, কিন্তু ভুলে সাহু সিজদাহ না দিয়েই সালাম ফিরিয়ে দিয়েছি।বসা অবস্থায়ই কিছুটা নড়াচড়া করার পর হঠাৎ সাহু সিজদাহর কথা মনে পড়ায় দুইটি সিজদাহ দিয়েছি,আর কিছু করিনি।এক্ষেত্রে নামায কি হয়ে যাবে? 

২।ফযরের নামাযের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মাঝে বা আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মাঝে উমরী কাযা আদায় করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/4923 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে বা নামাজের ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সাহু সিজদা দেওয়া যাবে। যতক্ষণ না কারো সাথে কথা বলা হবে।যদি কারো সাথে কথা বলে ফেলা হয়,তখন আর সাহু সিজদা দেওয়া যাবে না। ওয়াক্ত চলে গেলে আর সাহু সিজদার কোনো প্রয়োজন নাই।নামাযকেও দোহরাতে হবে না।(বাহরুর রায়েক-২/৯৯) তবে কেউ দোহড়ায়ে নিলে সেটাও মন্দ হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সিজদা দেওয়ার পর আবার তাশাহুদ পড়া জরুরী। তবে তাশাহুদ না পড়ে থাকলে এবং সালাম না ফিরিয়ে থাকলে ওয়াক্তের ভিতর হলে ঐ নামায কে দোহড়ানো জরুরী। হ্যা, ওয়াক্ত চলে গেলে তখন আর ঐ নামাযকে দোহড়াতে হবে না। 

(২)ফযরের নামাযের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মাঝে বা আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মাঝে উমরী কাযা আদায় করা যাবে ।কেননা উমরী কাযা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...