আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
https://www.facebook.com/groups/918589495611700/permalink/980786459392003/

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
এ লিংক এর ভিডিও টি দেখে উত্তর দিবেন আশা করি। এখানে আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান বলছেন, যাদের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সামর্থ্য আছে তাদের অবশ্যই ১ এর অধিক বিয়ে করতে হবে! উনার মতে একের অধিক বিয়ের নীতি দেওয়া হয়েছে কেননা, নারীর সংখ্যা পুরুষ হতে বেশি।
১.প্রশ্নঃ নারী পুরুষ হতে বেশি হলেও, ইসলাম এর নীতিতে ত বলেনি সামর্থ্য বান রা একের অধিক বিয়ে না করলে গুনাহ হবে। বরং কেউ চাইলে বিয়ে করতে পারবে কিন্তু সেজন্য তার সামর্থ্য থাকতে হবে যাতে সকল স্ত্রীর মধ্যে ইন্সাফ করতে পারেন। এখানে একের অধিক বিয়ে করা কোন পুরুষের নিজস্ব ইচ্ছা, তাই না?। কিন্তু উনি এটা বাধ্যতামূলক বলছেন কেন? তাহলে উনার বক্তব্য ভুল কিনা?

২. দুনিয়াবি শিক্ষায় বেশি সময় দিলে এবং সেটার নিয়ত সঠিক না হলে কি সময় অপচয় এর কোন গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (711,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/6683 নং ফাতওয়ায় বর্ণিত রয়েছে ,
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع 
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।(সুরা : নিসা, আয়াত-৩)

দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বিতীয় বিয়ে সাধারণত জায়েয। সুতরাং এ দ্বিতীয় বিয়েকে জরুরী বলা যাবে না। হ্যা, অবস্থার পরিপেক্ষিতে যদি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য  ফুকাহয়ে কেরাম ফাতাওয়া দেন, তাহলে তার বিধান জরুরী পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে সাধারণত দ্বিতীয় বিয়ে করা ওয়াজিব বা ফরয নয়। 

(২)জ্বী, দুনিয়াবি শিক্ষায় বেশি সময় দিলে এবং সেটার নিয়ত সঠিক না হলে , অবশ্যই সময়ের অপছয়ের গোনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...