জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
تَحْقِيق [حقق]
[তাহ্ক্বীক] শব্দের অর্থঃ
বাস্তবায়ন,কার্যকরকরণ,সত্যে পরিণতকরণ,পূরণ
প্রতিষ্ঠিতকরণ,প্রতিপাদন,
নিশ্চিতকরণ,সম্পাদন,অনুসন্ধান,তদন্ত,,পরীক্ষা,
নিরীক্ষা।
تَحْقِيق ج تَحْقِيقَات
[তাহ্ক্বীক] শব্দের অর্থঃ
পরীক্ষা,তদন্ত,অনুসন্ধান।
(০৩)
تَكْفِير [كفر]
[তাক্ফীর] শব্দের অর্থঃ
কাফ্ফারা,প্রায়শ্চিত্ত।
এখানে কাউকে কাফের বলা উদ্দেশ্য।
,
(২.৪)
কিয়াস (القياس)-এর আভিধানিক অর্থ হল কোনো নমুনা সামনে রেখে অপর কোনো জিনিস ওই নমুনার সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে কিনা তা নির্ণয় করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় কিয়াস বলা হয় নতুন উদ্ভুত কোনো বিষয়/মাসআলাহকে ইসলামী শরীয়তের মূল ভিত্তি/উৎস কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত বিধানবিধিন বা উসূলের আলোকে নিরিক্ষন করে দেখা যে তা কুরআন বা সুন্নাহ’র কোনো বিধান বা উসূলের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে এবং সে অনুযায়ী ওই উদ্ভুত বিষয়ের শরয়ী হুকুম কী হবে তা স্থির করা।
শরয়ী কিয়াস’কে অনেকে খোদ্ ইসতিহাদ (اجتهاد) বলেও অবিহিত করে থাকেন। অবশ্য কথাটি একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণ সঠিক। কারণ, ইসতিহাদ কথাটির আভিধানিক অর্থ হল: কোনো কিছু হাসিল করার উদ্দেশ্যে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালানো। শরীয়তের পরিভাষায় ইজতিহাদ বলা হয় ইসলামী শরীয়তের মূল ভিত্তি/উৎস কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত বিধানবিধিন বা উসূলের আলোকে যে কোনো বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী – তা নির্ণয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো।
বলা বাহুল্য, যে ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহ’য় সুস্পস্ট বিধান বিদ্যমান রয়েছে, সেখানে কিয়াস বা ইসতিহাদ -কোনটারই প্রয়োজন নেই; জায়েযও নেই। কিয়াস এবং ইসতিহাদ-তো করা হয় ওই ক্ষেত্রে, যখন কোনো নির্দিষ্ট ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহ’য় সুস্পস্ট বিধান বিদ্যমান পাওয়া যায় না, কিংবা পাওয়া গেলেও তার একাধিক শরয়ী অর্থ ও মর্ম বের করার অবকাশ থাকে, তখন কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত অনুষঙ্গিক বা অপরাপর বিধানবিধিন ও উসূলের আলোকে ইসতিহাদ/কিয়াস করে সেই বিষয়ে শরয়ী হুকুম কী -তা স্থির করা হয়।
কিয়াস ও ইসতিহাদ করার দলিল খোদ কুরআন কারিম, রাসুলুল্লাহ সা.-এর সুন্নাহ এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত।
সহীহ হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন– إني إنما أقضي بينكما برأي فيما لم ينزل علي فيه – ‘যে ব্যাপারে (সরাসরি কোনো ফয়সালা সহকারে) আমার উপর (কোনো ওহী) নাজিল হয় না, শুধু সেক্ষেত্রে আমি (আমার উপর বিগত নাজিল হওয়া ওহীর আলোকে ইজতেহাদ করি এবং একটি সিদ্ধান্তে উপণীত হই এবং) তোমাদের দুজনের মাঝে আমার সিদ্ধান্ত অনুসারে ফয়সালা করে দেই। [সহীহ বুখারী-৫/২১২; সহীহ মুসলীম-৩/১৩৩৭; সুনানে আবু দাউদ-৩৫৮৫; সুনানে নাসায়ী-৮/২৩৩; তাফসিরে ইবনে কাসির-৪/২৬০]
আরো জানুনঃ
(৫.৭) ইখতিলাফ মানে মতবিরোধ।
এখানে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে কোন মাসয়ালার বিধান নিয়ে মতবিরোধ উদ্দেশ্য।
,
(০৬)
ইস্তেখারা সংক্রান্ত জানুনঃ
(০৮)
'দা. -বা. ' মূলত আরবী 'দামাত বারাকাতুহুম'-এর সংক্ষেপ।
অর্থ- তার কল্যাণসমূহ স্থায়ী হোক।
নামের শেষে আরো কিছু বাক্যের ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমনঃ
★মু. আ.-এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- ‘মুদ্দাযিল্লুহুল আলি। ’ অর্থ- তার মহান ছায়া আমার ওপর দীর্ঘ হোক।
★হাফি.-এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- ‘হাফিযাহুল্লাহ। ’ অর্থ- আল্লাহ তার হেফাজত করুক।