আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (115 points)
১/দ্বীনের পথে ফিরে আসাএ পর অনেকেই নিজের পরিবারেই বেশি বাধাপ্রাপ্ত হয় তার দ্বীন পালনে।তারা কিছু স্ট্রিক্টলি পালন করতে চাইলেও হয়তো পারবেনা।যদিও ঈমানদার, হিকমত ওয়ালা হলে পাওয়া যায়।আল্লাহু আলাম।অনেক সময় দেখা যায় যে মেয়ে দ্বীন পালন করে সে দ্বীনের ব্যাপারে অনেক কিছু জানে অর্থাৎ যেটা করলে গুনাহ যেটা করলে গুনাহ না এরপর সে অনুযায়ী আমল করতে চেয়েও পারেনা।যেমনঃফেমিলির কোনো এক মেমবার কারো নামে বদনামি করলো অর্থাৎ গীব।। তখন তাকে এভোয়েড করতে চাইলেও পারা যাবেনা।সে জানে যে এইটা গীবত তাও তার ক্ষোভ থেকে তার দ্বীন পালন করা একজম ফেমিলি মেম্বার কে বলে যে এগুলাকে ভয় পায়।তখন দ্বীন পালন করা মেয়েটি গাভরে যায়, ভয় পায়।এভোয়েড করার চেষ্টা করে।যখন বলে আচ্ছা বাদ দাও বা বাদ দাও।তখন হয়তো ফেমিলি মেমবার তাকে খারাপ ভাবে।কারণ সে হয়তো মনেত ক্ষোভ থেকে, রাগ বের করা স্বার্থে তাকে কিছু কথা শেয়ার করলো।এইক্ষেত্রে বেশি ইফেক্ট পরে তার দাওয়াহ তে!ফেমিলি দাওয়াহ।তখন দ্বীন পালন করা মেয়েটি কি দাওয়ার উদ্দেশ্য ঠিক রাখার জন্য তার গীবিত গুলা শুনবে?যাতে যে গীবত করছে তার মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হয় তার প্রতি?

২/এক মেয়ের দুই রিলেটিভ ফেমিলির সামনে প্রকাশ্যে ঝগড়া করলো।এরপর সেই দুই  রিলেটিভ  এর একজন মেয়েটিকে এসে বললাও আরেকজনের সাথে ঝগড়ার ব্যাপারে।তার নামে মন্দ কথা বল্লো যা হয়তো সত্যি বা তার ভুল ধার।। এখন মেয়েটি বেশি স্কিপ ও করতে পারতেছেনা কারণ সে তার সাথে একসাথে রিকশায় বসা ছিল!তাই জায়গা ছেড়ে যাওয়ার ও উপায় নাই।এখন মেয়েটি তার কাছের রিলেটিভ এর প্রকাশ্যে ঝগড়ার ব্যাপারে মেয়েটিকে যদি বলে তাহলে কি গীবত হবে?

৩/ফেমিলি দাওয়াহ উদ্দেশ্য কথাটি বলা হচ্ছে।।নিচে উল্লেখ করছি

*দুই বোন ধরলাম ক ও খ তাদের নাম।"ক" দ্বীন পালন করতে চাই।চেষ্টা থাকে।কিন্তু "খ" পরিপূর্ণ দ্বীন পালন করতে চাইনা!এক্ষেত্রে" খ" বোন "ক" বোনকে অনেক সময় সাহায্য করতে বলে।যেমন গান শুনার জন্য, বা নাচের বা যেকোন ফানি জিনিসের ভিডিও দেখার জন্য তাকে বলে হেডফোন এনে দিতে।মোবাইল চার্জ দিতে।এরকম ছোট ছোট কাজ।যা না করলে প্রব্লেম হতে পারে।ফেমিলিএ ভেজাল লাগতে পারে।তখন ছোট বোন অর্থাৎ "ক" বোন যদি বড় বোন "খ" কে হেল্প করে দাওয়াহর উদ্দেশ্য তাতে কি তার গুনাহ হবে?

৪/অনেক সময় খালারা চায় তাদের বাসায় বেড়াতে যেতে!এখন খালার বাসায় নন মাহরাম মানে খালু+কাজিন থাবেই সম্মুখ। তখন যদি খালার বাসায় যাওয়া এভোয়েড করে হয়তো তার প্রতি খারাপ ইম্পেক্ট পড়তে পারে।এছাড়া খালুর সাথে একটু সালাম দেওয়া,কেমন আছেন ভাল আছেন জিজ্ঞাসা না করলে খালা হয়তো খারাপ ভাবতে পারে।এক্ষেত্রে সব পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য সেখানে যাওয়া যাবে+খালুর সাথে কথা বলা যাবে?

৫/বড় বোনের আগে ছোট বোন বিয়ে করতে চাচ্ছে।কিন্তু ছোট বোনের ভয় সে যদি চলে যায় তাহলে তার বড় বোন উল্টোপালটা গুনাহের কাজ করতে পারে।আবার তাদের বাসায় মাহরাম অর্থাৎ বাবা না থাকায় তাদের কাজ কর্মে কষ্ট হতে পারে।এক্ষেত্রে মেয়েটির উপর বিয়ে ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কি সে বিয়ে না করলে গুনাহ হবে?

৬/ইস্তেখারার রেজাল্ট পজিটিভ আসার পর ও আবার ইস্তেখারা করতে হবে?

৭/ইস্তেখারার পজিটিভ রেজাল্ট পর ও ছেলে মেয়ে দুইজনই রাজি কিন্তু ফেমিলি প্রব্লেমে বিয়ে করতে পারছেনা।এক্ষেত্রে তাদের কি করণীয়? তারা কি প্রয়োজনে চ্যাট করতে পারবে?যদি উদ্দেশ্য এমন থাকে যে মেয়েটি আর ওয়েট করতে পারছেনা তার বিয়ে করতেই হবে!সেই বার্তা জানানোর জন্য যদি মেয়েটি ছেলেটিকে মেসেজ দেয় তাহলে গুনাহ হবে?উল্লেখ্য, মেয়েটির বাবা নেই।ভাই নেই।পরিবারে মামা চাচা যারা আছে তাদেত সাথে এতো এটাচ না।এখন মেয়েটির ই করতে হবে কিছু করতে হলে।এক্ষেত্রে করণীয় কি?

৭/বাবা না থাকলে(মৃত)  মার পারমিশন ছাড়া বিয়ে করলে কি জায়েজ হবে?

৮/মেয়ে যদি তার ফেসবুক টাইমলাইনে ইসলামিক কিছু শেয়ার করে আর ছেলে যদি তার পোস্ট পড়তে চাই তাহলে কি গুনাহ হবে?আর মেয়ে যদি তার পোস্ট পড়ে তাহলে গুনাহ হবে?

এইখানে ৬-৮ একি প্রসংগে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)জ্বী আপনার হেকমত পূর্ণ কথাটিই যথার্থ মনে হচ্ছে। 
দ্বীন পালন করা মেয়েটি দাওয়ার উদ্দেশ্য ঠিক রাখার জন্য মনে মনে ইস্তেগফারের সাথে ঐ ব্যক্তির গীবিত গুলা শুনবে, যাতেকরে যে গীবত করছে, তার মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হয় তার প্রতি। 

(২) না, এটা গিবত হবে না। গিবতের সংখ্যায় এটা পড়বে না। 

(৩) দাওয়ার উদ্দেশ্যে ”ক” বোন ”খ” বোনকে সাহায্য করতে পারবে। 

(৪) যেহেতু উক্ত বাসায় গেলে নন মাহরামদের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের সামনে যেতে হবে, তাই তাদের ওখানে যাওয়া যাবে না। এমনকি গোনাহ হবে, এ কথা জানার পরও সেখানে গেলে আপনার গোনাহ হবে। 

(৫) বিশেষ হেকমতে বিয়েকে পিছানো যাবে। বড় বোনের আগে বিয়ে করা নাজায়েয কিছু নয়। বরং জায়েয। যদি বিয়ে না করার দরুণ আপনার দ্বীন পালনে কষ্ট হয়, বা আপনার গোনাহে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে আপনার জন্য এখনই বিয়ে করা ফরয। এক্ষেত্রে আপনার বোনের চিন্তায় আপনি বিয়েকে পিছাতে পারবেন না। 

(৬) ইস্তেখারার রিজাল্ট পজিটিভ আসার পর আপনি চাইলে আবারও ইস্তেখারা করতে পারেন। 

(৭) জ্বী, বিয়ের কথা নিয়ে মেয়েটা ছেলের সাথে আলোচনা করতে পারবে। তবে অযথা আলোচনা করতে পারবে না। 

(৮) ফেইসবুকে ছেলে যদি কোনো মেয়ের পোষ্ট পড়ে কিংবা মেয়ে যদি কোনো ছেলের পোষ্ট পড়ে, তাহলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...