ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)জ্বী আপনার হেকমত পূর্ণ কথাটিই যথার্থ মনে হচ্ছে।
দ্বীন পালন করা মেয়েটি দাওয়ার উদ্দেশ্য ঠিক রাখার জন্য মনে মনে ইস্তেগফারের সাথে ঐ ব্যক্তির গীবিত গুলা শুনবে, যাতেকরে যে গীবত করছে, তার মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হয় তার প্রতি।
(২) না, এটা গিবত হবে না। গিবতের সংখ্যায় এটা পড়বে না।
(৩) দাওয়ার উদ্দেশ্যে ”ক” বোন ”খ” বোনকে সাহায্য করতে পারবে।
(৪) যেহেতু উক্ত বাসায় গেলে নন মাহরামদের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের সামনে যেতে হবে, তাই তাদের ওখানে যাওয়া যাবে না। এমনকি গোনাহ হবে, এ কথা জানার পরও সেখানে গেলে আপনার গোনাহ হবে।
(৫) বিশেষ হেকমতে বিয়েকে পিছানো যাবে। বড় বোনের আগে বিয়ে করা নাজায়েয কিছু নয়। বরং জায়েয। যদি বিয়ে না করার দরুণ আপনার দ্বীন পালনে কষ্ট হয়, বা আপনার গোনাহে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে আপনার জন্য এখনই বিয়ে করা ফরয। এক্ষেত্রে আপনার বোনের চিন্তায় আপনি বিয়েকে পিছাতে পারবেন না।
(৬) ইস্তেখারার রিজাল্ট পজিটিভ আসার পর আপনি চাইলে আবারও ইস্তেখারা করতে পারেন।
(৭) জ্বী, বিয়ের কথা নিয়ে মেয়েটা ছেলের সাথে আলোচনা করতে পারবে। তবে অযথা আলোচনা করতে পারবে না।
(৮) ফেইসবুকে ছেলে যদি কোনো মেয়ের পোষ্ট পড়ে কিংবা মেয়ে যদি কোনো ছেলের পোষ্ট পড়ে, তাহলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।