ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতও পড়তে পারেন। অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেভাবে আ’মল করার কথা বলেছেন, সেভাবে করতে পারেন। তবে এর জন্য ইসলামিক পড়াশোনা ও অন্যান্য ইবাদত পরিত্যাগ করা উচিৎ মনে হচ্ছে না। কেননা হাদীসে এসেছে,
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ شَغَلَهُ الْقُرْآنُ وَذِكْرِي عَنْ مَسْأَلَتِي أَعْطَيْتُهُ أَفْضَلَ مَا أُعْطِي السَّائِلِينَ وَفَضْلُ كَلاَمِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلاَمِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান রাব্বুল ইজ্জাত বলেন, কুরআন (চর্চার ব্যস্ততা) ও আমার যিকির যাকে আমার নিকটে কিছু আবেদন করা হতে নিবৃত্ত রেখেছে আমি তাকে আমার কাছে যারা চায় তাদের চাইতে অনেক উত্তম বখশিশ দিব। সব কালামের উপর আল্লাহ্ তা'আলার কালামের গৌরব এত বেশি যত বেশি আল্লাহ তা'আলার সম্মান তার সকল সৃষ্টির উপর। (সুনানে তিরমিযি-২৯২৬)
সুতরাং আপনি ইসলামিক পড়াশোনা ও অন্যান্য ইবাদত এবং আপনার বিয়ের জন্য দুআ ও দুরুদ ইস্তেগফার সবকিছুকে চালিয়ে যাবেন। আল্লাহর যখন ইচ্ছা হবে, উত্তম জায়গায়ই আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন।
(২) এভাবে নির্দিষ্ট করে না চেয়ে এভাবে চাওয়া উত্তম যে, হে আল্লাহ আমার ঈমান ও আমল হেফাজতের জন্য যখন আমার ক্ষেত্রে বিয়ে মঙ্গল জনক তখনই আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন, হে আল্লাহ আমার জন্য তারাতারি কল্যাণকর হিসেবে তারাতারি বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন।