আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
edited by
১/পাছা দিয়ে যদি পুরুষের বীর্যের মত বের হয় তাকে কি ফরজ গোসল করতে হয়?২/ গুহপথে অকারনে হাত দিলে তার শান্তি কি বা এটা বিষয় বিধান কি?এই বিষয় একস্কুলে পড়াই সেখানে একছেলের পাছায় আরেকছেলে হাত দেয়,এমনকি পাছার ফুটোর ভিতরে ও হাত দেয় এটা কিছুদিন ধরে বিচার আসতেছে তাই এব্যাপারে ইসলাম কি বলে তা হাদিসের আলোকে শুনাবো বলেছি তাই জানতে চাই এব্যাপারে।২টা প্রশ্নের উত্তর ই চাই

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
পায়খানার রাস্তা দিয়ে যাহা কিছুই বের হবে,তাতে অযু ভেঙ্গে যাবে।
গোসল ফরজ হবেনা।
,  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي الَّذِي يَتَوَضَّأُ فَيَخْرُجُ الدُّودُ مِنْ دُبُرِهِ، قَالَ: ” عَلَيْهِ الْوُضُوءُ ” وَكَذَلِكَ قَالَ الْحَسَنُ وَجَمَاعَةٌ

হযরত আত্বা বিন আবী রবাহ রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি অযু করে, তারপর তার পিছনের রাস্তা দিয়ে কোন পোকা ইত্যাদি বের হয়, তাহলে তার উপর পুনরায় অযু করা আবশ্যক। একই কথা বলেছেন হাসান বসরী রহঃ এবং মুহাদ্দিসদের এক জামাত। [সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫৬৮, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-১/৩৯, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-১/১৬৪]

قَالَ عَطَاءٌ: «تَوَضَّأْ مِنْ كُلِّ حَدَثٍ مِنَ الْبَوْلِ، وَالْخَلَاءِ، وَالْفُسَاءِ، وَالضُّرَاطِ، وَمِنْ كُلِّ حَدَثٍ يَخْرُجُ مِنَ الْإِنْسَانِ

হযরত আত্বা রহঃ বলেন, অযু কর প্রত্যেক হদসের কারণে। যেমন পেশাব, পায়খানা, বায়ু বের হওয়া শব্দসহ বা শব্দ ছাড়া। প্রতিটি বস্তু যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-১/১৩৯, হাদীস নং-৫২৭]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পায়খানার রাস্তা দিয়ে বীর্য বের হয়না,কোনো পানি বের হলেও সেটি বীর্য নয়।
,
তব কেহ কেহ বলেছেন যে রোগের কারনে কখনো পায়খানার রাস্তা দিয়েও বীর্য আসতে পারে।
তবে শুধু এর কারনের গোসল ফরজ হবেনা।
,
(০২)
এটি চরম নির্লজ্জতা মূলক কাজ,শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি কবিরা গুনাহ। 

এক, এখানে সতর দেখা হচ্ছে।
দুই, চরম নির্লজ্জতা মূলক কাজ হচ্ছে।
,
এহেন কাজের কারনে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক কঠোর শাস্তি সম্মুখীন হতে হবে।
তাই দ্রুত তওবা করতে হবে। 
,
শিক্ষককের জন্য উচিত হলো প্রয়োজনে শাস্তি দেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 118 views
0 votes
1 answer 222 views
0 votes
1 answer 125 views
...