আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,891 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
closed by
দুই স্ত্রী আমার, সেক্ষেত্রে তারা দুইজন আমার কাছে একই বাড়িতে অবস্থান করে। তাদের রুম আলাদা। আলাদাভাবে সময় দিই, তারা দুই জনে রান্না বান্না একসাথে করে। মিল বন্ধন ভালো। মাঝেমধ্যে তারা একই ঘরে একসাথে সাথে সহবাস করতে চায়। তা কি শরীয়তে অনুমোদন করে?
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দুই স্ত্রীকে একই সাথে একই ঘরে সহবাস করা জায়েয হবে না। এটা অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার চুড়ান্ত সীমা।

এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃ
نظر المرأة إلى المرأة كنظر الرجل إلى الرجل، كذا في الذخيرة. وهو الأصح، هكذا في الكافي. ولا يجوز للمرأة أن تنظر إلى بطن امرأة عن شهوة، كذا في السراجية. ولا ينبغي للمرأة الصالحة أن تنظر إليها المرأة الفاجرة؛ لأنها تصفها عند الرجال فلا تضع جلبابها، ولا خمارها عندها، ولا يحل أيضا لامرأة مؤمنة أن تكشف عورتها عند أمة مشركة أو كتابية إلا أن تكون أمة لها، كذا في السراج الوهاج
এক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।(পুরুষের সামনে পুরুষের সতর কতটুকু সেটা পরে আসছে)কোনো মহিলার জন্য জায়েয নয় যে,সে আরেক মহিলার পেঠের  দিকে কামভাব নিয়ে তাকাবে।নেককার মহিলার জন্য উচিৎ নয় যে,তার দিকে কোনো বদকার মহিলা দৃষ্টি দিবে।কেননা ঐ বদকার মহিলা তার স্বামীর কাছে গিয়ে ঐ নেককার মহিলার শরীরের বর্ণনা দিবে।সুতরাং নেককার মহিলা, বদকার মহিলার সামনে নেকাব এবং উড়না খুলবে না।
ঠিকতেমনি কোনো কিতাবি বা মুশরিক মহিলার সামনে নেককার মহিলার জন্য সতর খুলা জায়েয হবে না।তবে নিজের বাদীর সামনে জায়েয রয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতর হল, নাভী থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত । সুতরাং এক মহিলা অন্য মহিলার সামনে উলঙ্গ হতে পারবে না। তাই এক স্ত্রীর সামনে অন্য স্ত্রীকে সহবাস করা যাবে না। 

وَإِنْ رَضِيَتَا بِأَنْ يُجَامِعَ وَاحِدَةً بِحَيْثُ تَرَاهُ الْأُخْرَى، لَمْ يَجُزْ؛ لِأَنَّ فِيهِ دَنَاءَةً وَسُخْفًا وَسُقُوطَ مُرُوءَةٍ، فَلَمْ يُبَحْ بِرِضَاهُمَا.
«المغني لابن قدامة ط مكتبة القاهرة» (7/ 301)

وَلَا يُجَامِعُ بِحَيْثُ يَرَاهُمَا أَحَدٌ، أَوْ يَسْمَعُ حِسَّهُمَا. وَلَا يُقَبِّلُهَا وَيُبَاشِرُهَا عِنْدَ النَّاسِ. قَالَ أَحْمَدُ: مَا يُعْجِبُنِي إلَّا أَنْ يَكْتُمَ هَذَا كُلَّهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ، فِي الَّذِي يُجَامِعُ الْمَرْأَةَ، وَالْأُخْرَى تَسْمَعُ، قَالَ: كَانُوا يَكْرَهُونَ الْوَجْسَ وَهُوَ الصَّوْتُ الْخَفِيُّ.
«المغني لابن قدامة ط مكتبة القاهرة» (7/ 299)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...