আসসালামুআলাইকুম,
১)বেহেশতী জেওর এর এই পেজের এখানে বলা আছে যে ১০০ বর্গহাতের ছোট কূপে নাজাসাত পড়লে কূপ নাপাক হয়ে যায় কিন্তু সবটুকু পানি ফেলে দিলেই কূপ পাক হয়ে যায়,এক্ষেত্রে কূপের দেয়াল ধোয়ার প্রয়োজন নেই।আবার যে বালতি নাপাক পানি তুলতে ব্যবহার হয় তাও নাপাক থাকে না যদি সমস্ত পানি ফেলে দেয়া হয়।
আমার প্রশ্ন হলো যে, বালতিতে তিনবার নাপাক কাপড় ধোয়ার পর পানি সবটুকু ফেলে দিলেই তো বালতি পাক হয়ে যায়।আলাদাভাবে তো আর বালতি ধোয়ার দরকার নেই তাই তো?
https://drive.google.com/file/d/1jUJsfYeri_v0hZw3w_jzN_lTzRPlyAEt/view?usp=drivesdk
২)নাপাক কাপড় তিনবার ধৌত করে প্রত্যেকবার নিংড়ালে কাপড় পবিত্র হয়,তাহলে তৃতীয়বার যে পানি ব্যবহার করা হয় তা কি পাক ? কারন সে পানি থেকে উঠানোর পর তো কাপড় কে পাক বিবেচনা করছি।কাপড় তৃতীয়বার ধৌত করার পর যে পানি পড়ে কাপড় হতে তা কি নাপাক ?
৩)মশা বা মাছির রক্ত তো পাক। তো এই রক্ত কি প্রকৃতিগতভাবে পাক? অর্থাৎ এই রক্ত যদি পানির সংস্পর্শে এসে এক দিরহামের বেশিও হয় তাহলেও কি এই রক্ত পাক?
৪)আমি জানতে পেরেছি যে এক সা' পানি দিয়ে ফরজ গোসল করা সুন্নাত। কিন্তু এক সা' পানি তো ২.৫ লিটার আনুমানিক ।অনেক চেষ্টা করেও এত অল্প পরিমান পানি দিয়ে গোসল করতে পারিনি।এটার ফিকহি দৃষ্টিকোণ হতে সমাধান আছে কি?
৫)আমাদের বাসার ট্যাঙ্কিতে পানি ভরার জন্য মোটর ছাড়া হলে ট্যাঙ্কি ভরে পানি পড়ে অনেক সময়।তো পানি পড়ার সময় তা বাইরের দিকে থাকা গ্যারেজের টিনের চালের উপর পড়ে আর মোটরের সুইচ বন্ধ করতে গেলে টিনের চালে পড়তে থাকা পানি গায়ে এসে ছিটা লাগে ।এখন টিনের চালে কোনো প্রানীর নাপাকি থাকে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।আবার মোটর বন্ধ করতে তিনতলা থেকে নামতে হয় ফলে কিছু পানি আগেই পড়ে ।তো নাপাকি থাকলেও তা ধুয়ে যায় কি না এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।তাহলে কি ছিটে আসা পানিকে পাক ধরে নিব??
অনেকগুলো প্রশ্ন করার জন্য দু:খিত।জাযাকাল্লাহ।