ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সিজদায়ে সাহু তখনই ওয়াজিব হয়, যখন কোনো ওয়াজিব তরক হবে কিংবা ফরযকে তার স্থান ব্যতিত ভিন্ন স্থানে পড়া হবে ।
সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে,।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব। আপনি ওয়াজিবকে তরক করেছেন। তবে আপনি যেহেতু সিজদায়ে সাহু দিয়ে দিয়েছেন, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়ে গেছে।
(২)যদি আপনি মন থেকে আল্লাহর কাছে অতীত জীবনের জন্য লজ্জিত হন, এবং এর জন্য আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে থাকেন, তাহলে আপনার কান্না না আসলেও কোনো সমস্যা নাই আপনার তাওবাহ অবশ্যই কবুল হবে।