আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
reopened by
হুজুর, দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তিভোগ করা আসামি কি আখিরাতে ওই কাজের জন্য আবার শাস্তি পাবে?
যেমন ধরুন,
১.একজন চোর ধরা খেল এবং শাস্তি হিসেবে তার হাত কেটে দেওয়া হলো, তাহলে আখিরাতে তার এই চুরি জন্য কি আবার শাস্তি হবে?

২.সে চুরি করলো কিন্তু ইসলামিক বিধি অনুযায়ী হাত কেটে দেওয়া হলো না কিন্তু অন্য শাস্তি পেল, তাহলে আখিরাতে তার কি ধরনের শাস্তি হবে?

৩.সে চুরি করলো কিন্তু কোন শাস্তি পেল না, তাহলে আখিরাতে তার কি ধরনের শাস্তি হবে?

অনুরুপ, সুদখোর, ঘুষখোর,যেনাকারীদের অথবা অন্য সকল অপরাধীদের বেলায় যদি তারা ইসলামিকভাবে শাস্তি পায়/ শাস্তি না পায়/ কোন প্রকারের শাস্তিই পেল না, তাহলে আখিরাতে তাদের জন্য কি বিধান/ শাস্তি থাকবে?**

বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

 **যদি না তারা মৃত্যুর আগে তাওবা করে।

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে, 
وَلَيْسَ مُطَهِّرًا عِنْدَنَا بَلْ الْمُطَهِّرُ التَّوْبَةُ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)
দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তিভোগ মানুষকে পবিত্র করে না, তাকে আখেরাতের শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে না। বরং শাস্তিভোগের পর তাওবাহই তাকে মুক্তি দিতে পারে। যদি তাওবাহ আল্লাহর নিকট কবুল হয়। 

قَوْلُهُ بَلْ الْمُطَهِّرُ التَّوْبَةُ) فَإِذَا حُدَّ وَلَمْ يَتُبْ يَبْقَى عَلَيْهِ إثْمُ الْمَعْصِيَةِ. وَذَهَبَ كَثِيرٌ مِنْ الْعُلَمَاءِ إلَى أَنَّهُ مُطَهِّرٌ، وَأُوْضِحَ دَلِيلُنَا فِي النَّهْرِ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)
যদি কাউকে দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তি দেওয়া হয়, কিন্তু সে তাওবাহ না করে , তাহলে তার উপর গোনাহ বাকী থাকবে। এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত । অন্যদিকে অধিকাংশ উলামাদের কথা হল, দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তিভোগ মানুষকে আখেরাতের শাস্তি থেকে বাচিয়ে দিবে। 

مَطْلَبٌ التَّوْبَةُ تُسْقِطُ الْحَدَّ قَبْلَ ثُبُوتِهِ (قَوْلُهُ وَأَجْمَعُوا إلَخْ) الظَّاهِرُ أَنَّ الْمُرَادَ أَنَّهَا لَا تُسْقِطُ الْحَدَّ الثَّابِتَ عِنْدَ الْحَاكِمِ بَعْدَ الرَّفْعِ إلَيْهِ، أَمَّا قَبْلَهُ فَيَسْقُطُ الْحَدُّ بِالتَّوْبَةِ حَتَّى فِي قُطَّاعِ الطَّرِيقِ سَوَاءٌ كَانَ قَبْلَ جِنَايَتِهِمْ عَلَى نَفْسٍ أَوْ عُضْوٍ أَوْ مَالٍ أَوْ كَانَ بَعْدَ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ كَمَا سَيَأْتِي فِي بَابِهِ، وَبِهِ صَرَّحَ فِي الْبَحْرِ هُنَا خِلَافًا لِمَا فِي النَّهْرِ، نَعَمْ يَبْقَى عَلَيْهِمْ حَقُّ الْعَبْدِ مِنْ الْقِصَاصِ إنْ قُتِلُوا وَالضَّمَانُ إنْ أَخَذُوا الْمَالَ، وَقَوْلُ الْبَحْرِ: وَالْقَطْعُ إنْ أَخَذُوا الْمَالَ سَبْقُ قَلَمٍ، وَصَوَابُهُ وَالضَّمَانُ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...