ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে,
وَلَيْسَ مُطَهِّرًا عِنْدَنَا بَلْ الْمُطَهِّرُ التَّوْبَةُ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)
দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তিভোগ মানুষকে পবিত্র করে না, তাকে আখেরাতের শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে না। বরং শাস্তিভোগের পর তাওবাহই তাকে মুক্তি দিতে পারে। যদি তাওবাহ আল্লাহর নিকট কবুল হয়।
قَوْلُهُ بَلْ الْمُطَهِّرُ التَّوْبَةُ) فَإِذَا حُدَّ وَلَمْ يَتُبْ يَبْقَى عَلَيْهِ إثْمُ الْمَعْصِيَةِ. وَذَهَبَ كَثِيرٌ مِنْ الْعُلَمَاءِ إلَى أَنَّهُ مُطَهِّرٌ، وَأُوْضِحَ دَلِيلُنَا فِي النَّهْرِ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)
যদি কাউকে দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তি দেওয়া হয়, কিন্তু সে তাওবাহ না করে , তাহলে তার উপর গোনাহ বাকী থাকবে। এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত । অন্যদিকে অধিকাংশ উলামাদের কথা হল, দুনিয়াতে ইসলামিক আইনে শাস্তিভোগ মানুষকে আখেরাতের শাস্তি থেকে বাচিয়ে দিবে।
مَطْلَبٌ التَّوْبَةُ تُسْقِطُ الْحَدَّ قَبْلَ ثُبُوتِهِ (قَوْلُهُ وَأَجْمَعُوا إلَخْ) الظَّاهِرُ أَنَّ الْمُرَادَ أَنَّهَا لَا تُسْقِطُ الْحَدَّ الثَّابِتَ عِنْدَ الْحَاكِمِ بَعْدَ الرَّفْعِ إلَيْهِ، أَمَّا قَبْلَهُ فَيَسْقُطُ الْحَدُّ بِالتَّوْبَةِ حَتَّى فِي قُطَّاعِ الطَّرِيقِ سَوَاءٌ كَانَ قَبْلَ جِنَايَتِهِمْ عَلَى نَفْسٍ أَوْ عُضْوٍ أَوْ مَالٍ أَوْ كَانَ بَعْدَ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ كَمَا سَيَأْتِي فِي بَابِهِ، وَبِهِ صَرَّحَ فِي الْبَحْرِ هُنَا خِلَافًا لِمَا فِي النَّهْرِ، نَعَمْ يَبْقَى عَلَيْهِمْ حَقُّ الْعَبْدِ مِنْ الْقِصَاصِ إنْ قُتِلُوا وَالضَّمَانُ إنْ أَخَذُوا الْمَالَ، وَقَوْلُ الْبَحْرِ: وَالْقَطْعُ إنْ أَخَذُوا الْمَالَ سَبْقُ قَلَمٍ، وَصَوَابُهُ وَالضَّمَانُ.
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (4/ 4)