আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in সালাত(Prayer) by (33 points)
বড় ভাই নামাজ কম পড়েন। এজন্য আম্মা বুজান, কোনো সময় রাগ করে বকা দেন।

বেশীর ভাগ ফজরের সময় আম্মা যখন ডাকতে যান, তখন ভাইয়া উঠা তো দূরের কথা উলটো আম্মার সাথে রাগ করে বিভিন্ন কথা বলেন।

এইরকম কথা মাঝে মাঝে রাগে বলেন ভাই,

"বলছি তো পড়বো,,তাইলে এতবার বলো কেন"

"আমি কি না করেছি পড়বো না,,যাও এখান থেকে"

"তুমি কি দেখেছো আমি পড়ি নাই? আমি একটু আগে পড়ে নিয়েছি" --(অথচ ভাই মিথ্যা বলেছেন, তিনি নামাজ না পড়েই, আম্মার সাথে রাগে বলেন উনি পড়ে নিয়েছেন)

"(কোনো সময় রাগে বলেন)"" যাও একান থেকে,,, পড়লে পড়ি না পড়লে নাই""

উপোরক্ত সব কথা রাগ করে উত্তর দেন। একটি কথাও বিনা রাগে বলেন না।
আম্মা নামাজের দাওয়াত দেন। কিন্তু হিতে বিপরীতে ভাইয়ার এরকম রাগারাগি করা, রাগারাগি করে কথা বলার কারনে ভাইয়ার কি ঈমান ভংগের কারন হবে কি?

(যেহেতু আম্মা নামাজের দাওয়াত দেন,,আর ভাইয়া রাগ করেন)

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


কাউকে কাফের বলা সংক্রান্ত ইসলামের বিধান অনেক কঠোর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮} 

কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূলঃ
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

আরো জানুনঃ 

★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তির ঈমান চলে যায়নি, কাফের হয়ে যায়নি,তার ঈমান নবায়ন করতে হবেনা,তার এহেন রাগ দেখানো কোনোভাবেই কাম্য নয়।
মায়ের সাথে নামাজ পড়া সংক্রান্ত এহেন ব্যবহারের কারনে মায়ের কাছে এবং মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত মিথ্যা বলার কারনে তার নামাজ না পড়ার পাশাপাশি মিথ্যা বলারও গুনাহ হবে। 
তার খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।  
ভবিষ্যতে আর এহেন কথা বলবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 337 views
...