আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
358 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (14 points)
edited by
প্রশ্নটি আবার করার জন্য দুঃখিত।

গতবার প্রশ্নের উত্তর এখনো দেয়া হয়নি।

বিষয়টি খুবই জরুরি এবং যিনি এমন করেছেন তিনি বিবাহিত, তাই তিনি খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন। দয়া করে দ্রুত জানাবেন ইন শা আল্লাহ।

আসসালামুয়ালাইকুম

একজন ব্যাক্তি অপর ব্যক্তিকে এশার জামাতের ওয়াক্তের কিছু আগে জিজ্ঞেস করেন যে এশার জামাত পড়তে তিনি মসজিদে যাবেন কিনা? উত্তরে অপর ব্যক্তি মজা করতে গিয়ে বলেন যে ," আমি এখন একটু শুয়ে রেস্ট নিবো, এরপর উঠে জামাত পড়তে পারবো কি পারবোনা এটি নির্ভর করবে শয়তানের উপর, শয়তান ধোকা দিয়ে দিলে পারবোনা।"
এখন উনি ভবিষ্যতের একটি কাজ শয়তানের উপর নির্ভর করবে এই ধরণের কথা বলায় ঈমাণ ভঙ্গ হয়ে গেছে কি?

উল্লেখ্য যে উনি সাথে সাথেই উনার ভুল বুঝতে পারেন এবং আসলে যে শয়তানের উপর কিছুই নির্ভর করেনা এবং আল্লাহ তায়ালা একাই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী তিনি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। বাস্তব জীবনে ও তিনি দ্বীন ইসলাম ফলো করার যথাসাধ্য চেস্টা করেন। শুধু মাত্র কথাচ্ছলে এবং কথায় কথায় বন্ধুর সাথে মজা করতে গিয়েই এমনটা বলে ফেলেন।

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূলঃ
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তির ঈমান চলে যায়নি, কাফের হয়ে যায়নি,তার ঈমান নবায়ন করতে হবেনা,খালেছ দিলে তওবাই যথেষ্ট।  
ভবিষ্যতে আর এহেন কথা বলবেনা। 

কাউকে কাফের বলা সংক্রান্ত ইসলামের বিধান অনেক কঠোর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮} 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...