জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، أَخْبَرَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِيْ هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «كُتِبَ عَلَى ابْن آدَمَ نَصِيبُهُ مِنَ الزِّنَا مُدْرِكُ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ : العَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الكَلاَمُ، وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا، وَالقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ» . متفق عَلَيْهِ .
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন,
আদম সন্তানের জন্য তাক্বদীরে যিনার অংশ যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছে, সে ততটুকু অবশ্যই পাবে। দুই চোখের যিনা তাকানো, কানের যিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের যিনা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের যিনা (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশে) স্পর্শ করা আর পায়ের যিনা ব্যভিচারের উদ্দেশে অগ্রসর হওয়া এবং মনের যিনা হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। আর গুপ্তাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে।
সহীহুল বুখারী ৬২৪৩, ৬৬১২, মুসলিম ২৬৫৭, আবূ দাউদ ২১৫২, আহমাদ ৭৬৬২, ৮১৫৬, ৮৩২১, ৮৩৩৪, ৮৩৯২, ৮৬২৬, ৯০৭৬, ৯২৭৯
হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে
‘আল্লামা তুরবিশতী (রহঃ) বলেছেন, আদম সন্তানের ওপর এটাই সাব্যস্ত যে, তার জন্য প্রয়োজন সৃষ্টি করা হয়েছে আর সে প্রয়োজনীয়তার দ্বারা সে স্বাদ গ্রহণ করে। তাকে শক্তি দান করা হয়েছে যার দ্বারা সে উক্ত কর্ম সম্পাদনের (যিনার) ক্ষমতা রাখে। আর চক্ষুদ্বয় এর বিষয় হলো যে, এই চক্ষুদ্বয়ের দৃষ্টিপাতের সক্ষমতা দ্বারা দেখার স্বাদ গ্রহণ করা যায়। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেন যে, كَتَبَ উদ্দেশ্য হলো, তাতে যৌন চাহিদা এবং নারীদের প্রতি পুরুষের দুর্বলতা বা ঝুঁকে পড়া প্রমাণিত হয় এবং চক্ষু, কর্ণ, অন্তর এবং লজ্জাস্থান দ্বারা যিনার স্বাদ গ্রহণ করা যায়।
(وَالنَّفْسُ تَمَنّى وَتَشْتَهِي) অন্তর আকাঙ্ক্ষা ও খাওয়াহিশাত বা যৌন চাহিদার জন্ম দেয়। অর্থাৎ- অন্তরের যিনা হলো- আকাঙ্ক্ষা করা। (وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذلِكَ) যৌনাঙ্গ সহবাসের মাধ্যমে দৃষ্টিপাত ও খাহেশাতের বাস্তব প্রতিফলন ঘটায়। আর (يُكَذِّبُهٗ) এর অর্থ হলো, প্রতিপালকের ভয়ে উক্ত কর্ম থেকে বিরত থাকে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বান্দাহ নিজ কর্মের প্রতি পুরোপুরি স্বাধীন।
তবে আমরা দুনিয়াতে এসে কি কি করবো,এটি মহাজ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা যেহেতু আগে থেকেই জানেন,তাই তিনি সেই বিষয় এগেই লিখে রেখেছেন।
তাই যেকোনো গুনাহ আমাদের কাজের ফলাফল।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
নিজ প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা নফল দান করতে পারবে।
এমন যেনো না হয় যে দান করে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়,বা কষ্টে দিন যাপন করতে হয়।
,
(০৩)
দুটোই ভালো।
তবে প্রথমটি নগদ দান,তাই এতে যেমন ভালো কিছু আছে,২য়টির ক্ষেত্রে ভালো বিষয় আছে,তখন মোটা অংক কাউকে দান করা যাবে।
এক্ষেত্রে গরিব মানুষ সেই মোটা অংক কাজে লাগিয়ে বেশি উপকৃত হতে পারবে।
,
(০৪)
সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু আনহুম।