আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
343 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
এক আপুর পরিবার এ দ্বীন এর বুঝ নাই, কিন্তু তিনি দ্বীনি ছেলে কে বিয়ে করতে চান। ছেলে দ্বীনি কিন্তু ছেলের বংশ মেয়ের তুলনায় নিচু হওয়ায় পরিবার সেই ছেলের সাথে বিয়ে বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু আপু চাচ্ছেন দ্বীনি ছেলে কে বিয়ে করতে, তিনি ঐ ছেলের দ্বীনদারিতা দেখে দুর্বল হয়ে পরিবারের আড়ালে ছেলে কে কথা দিয়েছেন তাকে বিয়ে করবেন। এখন পরিবারের কথায় তিনি ভাবছেন তার কোনদিকে যাওয়া উচিত? সেই ছেলেকে বিয়ে করা নাকি মা, আত্মীয় সবার কথা শুনে এই বিয়ে না করা। তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কি করা উচিত জানতে চান। কোনটা উত্তম হবে? এদিকে আবার সেই ছেলে আপুকে এখন বলছে কথা দিয়ে এখন যদি তাকে বিয়ে না করে আখিরাত এ নাকি এজন্য জবাবদিহি করতে হবে, পাওনা দিতে হবে। এজন্য আপু টা ভয় পাচ্ছে। কি করা উচিত দয়া করে জানাবেন দ্রুত। উনি খুব ঝামেলায় আছেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কোনো ব্যাক্তি যদি ব্যক্তি কোন কিছুর কসম খায়, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم– « مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِى هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কিছুর কসম খায়, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের কাফফারা প্রদান করে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৩৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৩৫২,৪৩৪৭, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৯৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১৮২৫১, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-৫১৬, মুসনাদে ইবনুফ জিদ, হাদীস নং-১৩৬, মুসনাদে তায়ারিসী, হাদীস নং-১৩৭০, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪৫৭, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৩৪৫, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৭২৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৮৬৩৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২১০৮, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬২৪৭}


★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মেয়ের জন্য তারা বাবা মার আদেশ মানা জরুরি। 
মা বাবার আদেশ অমান্য করা জায়েজ হবেনা। 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ওয়াদা দেওয়াই তার জন্য জায়েজ হয়নি,তাই সেই ওয়াদা পালন না করলে মহান আল্লাহর কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হবেনা।
এই কারনে পরকালে তার কোনো শাস্তি হবেনা।        
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...